চৌগাছায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন : বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ

0

 

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় গত শুক্রবার রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। পাকা আউশ ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। পানিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ বিলের রোপা আমন ধান।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চৌগাছায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হতে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় একটানা বৃষ্টি। দুই সপ্তাহ আগে একদিনের বৃষ্টিতে চৌগাছায় কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে জানা গেছে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবারও একটানা বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট সব থেকে বেশি। প্রায় তিনদিন ধরে কাজের দেখা না পেয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেকে।
রোববার সকালে চৌগাছার প্রধান কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ কাদায় একাকার। চরম বিড়ম্বনার শিকার হন সকলে। ব্যবসায়ী কবির উদ্দিন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাষি তার উৎপাদিত ফসল নিয়ে আসতে পারেনি। কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, কিছু কাঁচা মরিচ নিয়ে ভিজতে ভিজতে বাজারে এসেছি কিন্তু কাক্সিক্ষত দাম পাইনি। বাজারে আনিছুর রহমান ও অনেশ্বর সরদার বলেন, তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে,কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বা হাটে কাজ নেই। রোজগার না থাকায় পরিবার নিয়ে বেশ কষ্টে আছি।
এদিকে বৃষ্টির কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি মানুষ। ফলে সড়কে লোকজন না থাকায় রোজগার হচ্ছে না ভ্যান কিংবা ইজিবাইক চালকদের। ভ্যানচালক রাম সরদার, আব্দুর রশিদ বলেন, দ্ইু তিন দিন ধরে রোজগার শূন্যের কোটায় পৌছেছে। আয় না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
একটানা বৃষ্টির কারণে রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রোববার দুপুরে চৌগাছার বাকপাড়া বিলে গিয়ে দেখা যায়, ধানের ওপরে পানি থৈথৈ করছে। কৃষক হায়দার আলী বলেন, এ বছর ধান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুই দফা বৃষ্টিতে রোপা আমন নষ্ট হয়ে গেছে।