চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। গত দু সপ্তাহের ব্যবধানে চিকন চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন বড় ব্যবসায়ীরা ধান-চাল মজুত করার কারণে চিকন চালের দাম বেড়েছে। এ সপ্তাহে আলুর কেজিতেও দাম বেড়েছে ৫ টাকা। পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, খামারের মুরগি ও সবজির দাম বাড়ার পর আর কমেনি। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
শুক্রবার বড় বাজার চালবাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতা মো. ইসহাক চিকন বাংলামতি চাল বিক্রি করেছেন মানভেদে প্রতি কেজি ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা দরে। গত দু সপ্তাহ আগেও বাজারে বাংলামতি চাল বিক্রি হয়েছিল ৭৪ থেকে ৭৬ টাকায়। মিনিকেট চালের কেজিতেও বেড়েছে ৪ টাকা। শুক্রবার বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকা। গত দু সপ্তাহ আগেও মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। তাছাড়া এদিন কাজললতা চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা, বিআর-৬৩ চাল ৭২ থেকে ৭৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা ও মোটা নূরজাহান চাল বিক্রি হয়েছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা।
খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীরা হাট-বাজার থেকে ধান ও চাল কিনে মজুত করছে। তাছাড়া কুরবানি ঈদের পরে অনেক চালকল দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহের ঘাটতি পড়েছে। এ কারণেও চিকন চালের দাম বেড়েছে।
এদিকে বাজারে এ সপ্তাহে গোল আলুর দাম প্রতি কেজিতে আরও ৫ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার বড় বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী বাদল রাও জানান, তিনি প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আড়তদার বাগান চন্দ্র সাহা জানান, এ বছর কোল্ডস্টোরেজগুলোতে ঠিকমত আলু ভরেনি। প্রচুর ঘাটতি থেকে গেছে। তিনি আশঙ্কা করছেন সামনের দিনগুলোতে আলুর দাম আরও বাড়বে। এদিন বাদল রাও কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এই পণ্যগুলোর দাম বাড়ার পর এ সপ্তাহেও অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজির বাজারেও অগ্নিমূল্য বিরাজ করছে। শুক্রবার খুচরা বিক্রেতা নাসির আলী ভালোমানের উচ্ছে প্রতি কেজি আকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাকরোল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও ঝিঙে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
বাজারে ঈদের পরে খামারের মুরগির দাম বাড়ার পর আর কমেনি। খুচরা বিক্রেতা গোলাম হোসেন জানান, তিনি শুক্রবার সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, বাজারে মুরগির ডিমের দাম বেশি, তাই মুরগির দামও বেড়েছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বৃষ্টি হলে খামারের মুরগির দাম কমে আসবে।
বড় বাজার কাঠেরপুলে গরুর মাংস বিক্রিতে ধস নেমেছে। অর্ধেকেরই বেশি দোকান আপাতত বন্ধ রয়েছে। নাদিম বিফ হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. নাদিম জানান, কুরবানি ঈদের পরে গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতা আসছে না। তিনি আরও জানান, আগামী তিন মাস বেচাকেনা মন্দা যাবে। তবে বেচাকেনা যৎসামান্য হলেও প্রতি কেজি গরুর মাংসের ৭৫০ টাকা দর বহাল আছে।