পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ায় ঝুঁকে পড়েছে যুবসমাজ

0

এইচ,এম,শফিউল ইসলাম,কপিলমুনি (খুলনা) ॥ খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় সর্বনাশা অনলাইনের জুয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছে যুবসমাজ।
করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইনভিত্তিক ক্লাস করতে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যায় স্মার্টফোন। আর এ সুযোগে লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা ঢুকে পড়ে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন জুয়ার আসরে। বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে চলমান বিভিন্ন ক্রীড়া আসরে দলের পক্ষে-বিপক্ষে এমনকি ক্রিকেটে প্রতি বল, ওভার, প্রিয় খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের ওপরও ধরা হয় বাজি। এক্ষেত্রে অধিকাংশরাই হারলেও লাভবান হওয়ারও থাকে কিঞ্চিৎ সুযোগ থাকে। যদিও সে সংখ্যা হাতে গোনা।
সূত্র জানায়, অনলাইন জুয়া পরিচালকরা এলাকাভিত্তিক ইলেকট্রনিকস মানি সাপ্লায়ার্স এজেন্ট দিয়েছে। পাইকগাছা উপজেলায় এর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এসব খেলার নামে জুয়ার আসরে ইতোমধ্যে অনেকের সহায়-সম্বল হারানোর ঘটনাও ঘটেছে। যার মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
সূত্র জানায়,বিশ্বকাপ ফুটবল, আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ, ইউরোপীয় ফুটবল লিগ, ক্রিকেট লিগসহ বিভিন্ন -ধরনের খেলায় বাজি ধরার ব্যবস্থা আছে। চাইলে যে কেউ ক্যাসিনোও খেলতে পারেন। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি তাদের মোবাইল ফোনের অ্যাপও রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, এটি কোনো স্বাভাবিক অনলাইন জুয়ার আসর। কিন্তু গভীরে প্রবেশ করলে বুঝতে পারা যায়, জুয়ার নামে এটিও বিদেশে টাকা পাচারের আরেক আসর। এসব অনলাইন জুয়া বন্ধে সচেতন অভিভাবকমহল সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, সবাই সচেতন না হলে আমরা কি ভাবে ঠেকাবো। ইতোমধ্যে আমরা চায়ের দোকানে ক্যারম বোর্ড বাতিল করেছি । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন আমি ওই নেট জুয়ার বিষয় জেনেছি, এ ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেব।