পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা মুরগি ও সবজির দাম বেশি

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন
ঈদের পরে বাজারে ক্রেতা কমলেও নিত্যপণ্যের দাম কমেনি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে। রাতারাতি পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ টাকা। চাহিদা বাড়ায় কুরবানি ঈদের পরে খামারের মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা। এ সপ্তাহে সবজির দাম আরও এক দফা বেড়েছে। তবে মৌসুম শুরু হওয়ায় ইলিশ মাছের দাম কমতির দিকে। শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
ঈদের পরে বাজারে ক্রেতা কমলেও নিত্যপণ্যের দামের বৃদ্ধি থেমে নেই। রাতারাতি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার খুচরা বিক্রেতা জয়দেব সাহা জানান, তিনি এদিন দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবারও তিনি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছিলেন।
আড়তদার বাগান চন্দ্র সাহা জানান, যশোরে ব্যাপারিরা পেঁয়াজ বিক্রি করতে নিয়ে আসেন রাজবাড়ি জেলার নারুয়া, সমাধিনগর ও বালিয়াকান্দি থেকে। সেখানে শুক্রবার পাইকারি প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে ৭৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে। তিনি তার আড়তে শুক্রবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি দর ৮৫ টাকা থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি করেছেন। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় তিনি দেশি পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন।
এদিকে প্রতি বছর দেখা যায়, কুরবানি ঈদের পরে বিয়ের অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নের জন্য মুরগির প্রয়োজন হয়। এ সময় খামারের সোনালি মুরগির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে খামারিরাও সোনালি মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। খুচরা বিক্রেতা ইমরান হোসেন জানান, তিনি শুক্রবার খামারের সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ঈদের আগেও তিনি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছিলেন।
অন্যদিকে পুরো গ্রীষ্মকালজুড়ে সবজির বাজারে যে উত্তাপ চলেছে তা বর্ষাতেও নেভেনি, বরং আরও বেড়েছে। শুক্রবার খুচরা সবজি বিক্রেতা নাসির আলী ভালোমানের উচ্ছে বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০ থেকে ১৫০ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ১৪০ টাকা, শসা ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ৮০ টাকা, কাকরোল ১০০ থেকে ৮০ টাকা,মুখিকচু ১০০ থেকে ৮০ টাকা ও করোলা ৮০ টাকা দরে। তিনি জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে এসব সবজির সরবরাহ কমেছে। এ কারণে দাম বেশি।
তবে এতকিছুর পরেও সুখবর আছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় যশোরের বাজারে একটু একটু করে ইলিশ মাছের সরবরাহ বাড়ছে। শুক্রবার বড় বাজার মাছবাজারে খুচরা বিক্রেতা এরশাদ আলী নদীর এক কেজি ২শ গ্রাম আকারের ইলিশ প্রতি কেজি ১৮শ টাকায় বিক্রি করেছেন। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছিল ২২শ টাকায়। এক কেজি ইলিশ বিক্রি করেছেন ১৭শ টাকায়, যা গত সপ্তাহে দাম ছিল ২ হাজার টাকা। আর ৮শ/৯শ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ১৫শ/১৬শ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৭শ/১৮শ টাকা দরে।
আড়তদার পিয়ার মুহাম্মদ জানান, বর্ষা এসেছে, এখন ইলিশের সরবরাহ বাড়বে। ভোলা, বরিশাল ও বরগুনা জেলা থেকে সেখানকার আড়তদার ও মহাজনরা যশোরে ইলিশ মাছ পাইকারি দরে বিক্রির জন্য বিভিন্ন আড়তে পাঠিয়ে থাকেন।