শরণখোলায় সংবাদ সম্মেলনে জোর করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

0

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ শরণখোলায় আব্দুর রহিম হাওলাদার নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জমির মালিক ইউপি সদস্য শাহজাহান বাদল জমাদ্দার এবং তার অংশীদার জামাল হোসেন ও জিয়া উদ্দিন তাদের ভয়ে জমির কাছেও ভিড়তে পারছেন না। তারা জমি দখল করে নেওয়াসহ জমির মালিকদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। রোববার শরণখোলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী জমির মালিকরা।
জমির মালিকদের মধ্যে রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান বাদল জমাদ্দার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা ২০২৩ সালে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৬নম্বর আমড়াগাছিয়া মৌজার রেকর্ডিয় মালিক আব্দুল আজিজ কাজী, সরোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং মৃত হরমুজ আলী হাওলাদারের ওয়ারিশদের কাছ থেকে ৪০দশমিক ৮২ শতাংশ জমি ক্রয় করি। যার এসএ খতিয়ান ১২৯৭, বিআরএস দাগ ৪৪৩৫ ও ৪৪৩৭ এবং বিআরএস খতিয়ান ২২৫১,২৩২২,২৩২০,২৩১১ এবং বিআরএস দাগ নম্বর ৬৩১৯ ও ৬৭৩৯। জমি ক্রয়ের পর থেকেই আমি ও আমার দুই অংশীদার জামাল হোসেন বয়াতী এবং জিয়া উদ্দিন ওই জমি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম হাওলাদার ওই জমি তার বলে দাবি করেন। অথচ আমাদের ভোগদখলীয় জমির দাগ ও খতিয়ানের সঙ্গে আব্দুর রহিমের দাবিকৃত জমির দাগ-খতিয়ানের কোনো মিল নেই। এনিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের মাধ্যমে সালিশ-বৈঠক করে বিবাদ মীমাংসায় একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও আব্দুর রহিম তাতে রাজি হননি। জোর করে জমি দখলে নেওয়াই তার উদ্দেশ্য।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম হাওলাদার বলেন, আমি কারও জমি দখল বা হুমকি দিইনি। শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের বতর্মান সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনের কাছ থেকে ২০১৯ সালে উল্লিখিত জমি কিনে আমি সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা এসে আমার বাড়ি দখল করে নিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।