‘জাতীয় প্রয়োজনে সংবিধানে কী আছে সেটা বড় কথা নয়’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জাতীয় প্রয়োজনে সংবিধানে কী আছে বা নেই সেটা বড় কথা নয় বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ৯১৯১ সালে বিচারপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। সেই সরকার নির্বাচন দিয়েছিল। যা হয়েছিল সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটের মাধ্যমে। সেই নির্বাচনে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নব্বইয়ে স্বৈরাচার পতনের পর বাংলাদেশে একটি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার হয়েছিল। তখনকার সংবিধানে নির্দলীয় সরকারের কোনো বিধান ছিল না। কিন্তু জনগণের স্বার্থে সেই দিন নির্দলীয় সরকার হয়েছিল। সংবিধানে যে এটা ছিল না তাতে কোনো বাধা হয় নাই। আজকে এটা আমরা জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই। ৯১৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সরকার নির্বাচন দিয়েছিল। যা হয়েছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটের মাধ্যমে। সেই নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আজকে যারা সরকারের তারা ভোট ডাকাতি করে, গায়ের জোরে বিনাভোটের নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট সরকারে দেশ পরিচালনা করছে। তাই ৯০-তে যে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন হয়েছিল, আজকে সেই প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ নির্বাচন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোল মডেল’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।