হল বন্ধের দাবি বুটেক্স শিক্ষার্থীদের, উপাচার্যের আশ্বাস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে হল বন্ধ ও অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বুটেক্স সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে পুরো তেজগাঁও এলাকায় তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, আজ সকালে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন তারা। তখন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেননি উপাচার্য। পাশাপাশি বুটেক্স রেজিস্ট্রার শাহ আলিমুজ্জামান বেলাল শিক্ষার্থীদের বলেন, করোনা যার যার, দায়ভার তার। রেজিস্ট্রারের ওই বক্তব্যের পরই সড়কে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে ক্যাম্পাসে ফেরেন তারা। টেক্সটাইল বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি আমরা বিবেচনা করছি। তাদের ১১ জানুয়ারির পরীক্ষা স্থগিত, হলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। আমরা বৈঠক করে পরবর্তী নোটিশ দেবো।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. অবিলম্বে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে হল বন্ধ করতে হবে।
২. অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিনদিন থেকে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ সময় নিয়ে নতুন রুটিনে অফলাইনে বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে পারে, অথবা বর্তমান রুটিনের প্রথম দু’টি পরীক্ষা পিছিয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো আগের রুটিন অনুযায়ী নিতে পারে।
৩. করোনাকালীন সময়ে চলমান টার্ম পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে, অবশ্যই চলমান টার্মের পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই আগামী টার্মের ক্লাস অনলাইনে শুরু করতে হবে এবং দিনপ্রতি অন্তত ৪টি এবং সর্বোচ্চ ৬টি ক্লাস নিতে হবে।
৪. করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বিলম্ব হওয়ার কারণে যদি কোনো শিক্ষার্থী হলে আক্রান্ত বা সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে, তার এবং তার পরিবারের সার্বিক দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।
৫. দাবিগুলো আমলে নিয়ে আজকের মধ্যেই মৌখিক স্বীকৃতি এবং আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রশাসনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশ আকারে প্রকাশ করতে হবে। তা-নাহলে সশরীরে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে যেকোনো শিক্ষা-কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন শিক্ষার্থীরা।