মাভাবিপ্রবি মেডিক্যাল চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের প্যাডে ভুল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) মেডিক্যাল সেন্টারে ব্যবহৃত ব্যবস্থাপত্র ও মেডিক্যাল রিপোর্টের প্যাডে ভুল বানান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফেসবুক গ্রুপে নানারকম মন্তব্য করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র সুজন চন্দ্র দাস পুলক লিখেছেন, ‘বানানগুলো অসুস্থ, সবার আগে ওদের সুস্থ করা হোক।’ যেহেতু, মেডিক্যাল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই এবং সেন্টারটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, তাই সেন্টারে ব্যবহৃত ব্যবস্থাপত্র ও মেডিক্যাল রিপোর্টের বানানগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধানে প্রণীত বানানের আদলেই হওয়া উচিত বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ব্যবস্থাপত্র ও মেডিক্যাল রিপোর্টের উপরের হেডলাইনের মধ্যেই বানান ভুল। সেটাতেই ওষধ লিখছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা। ভুল বানানগুলোর প্রত্যেকটিই ইংরেজিতে। যেমন- Santosh লেখা হয়েছে Santhosh, Mawlana কে লেখা হয়েছে Maulana। জননেতা আব্দুল মান্নান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আদিব রহমান রাহাত বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হচ্ছে মেডিক্যাল সেন্টার। আমরা প্রাথমিকভাবে অসুস্থবোধ করলেই আগে মেডিক্যাল সেন্টার থেকে চিকিৎসাপত্র গ্রহণ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপত্র ও টেস্ট রিপোর্টে এ ধরনের বানান ভুল লজ্জাজনক। একটা দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এ ধরনের ভুল মোটেও কাম্য নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জারিফ আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের দায়িত্বহীনতার বড় উদাহরণ এটি। কোনোভাবেই যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে সিনিয়র জুনিয়র, এমনকি প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ বিষয়ে উপ-প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ডা. কাওসার আহমাদ বলেন, বানান ভুলের ব্যাপারটা আমাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা শিগগির ব্যবস্থাপত্রগুলো ও মেডিক্যাল রিপোর্টের ব্যবস্থাপত্রগুলো পরিবর্তন করবো৷ প্রায় ৫০টার অধিক নতুন ব্যবস্থাপত্র তৈরি করা হয়েছে, যেগুলোর প্রত্যেকটিতে একই ভুল। নতুন করে ব্যবস্থাপত্রগুলো তৈরি করবো। বর্তমানে আমরা কলম দিয়ে বানানগুলো ঠিক করে চিকিৎসাপত্র বিতরণ করে কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছি। নতুন চিকিৎসাপত্র আসলেই আমরা সেগুলো ব্যবহার করা শুরু করবো।’