নীতিমালার অভাবে পড়ে আছে শত কোটি টাকা

0

গত রবিবার বিআইডিএস ‘ক্রিটিক্যাল কনভারসেশনস ২০২১ : কোভিড-১৯ লিঙ্কিং ইকোনোমিক এ্যান্ড হেলথ কনসার্নস’ শীর্ষক বিআইডিএসের ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা কতটা ভঙ্গুর সেটি উঠে এসেছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, করোনার সময় বিশেষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য কোন দেশই প্রস্তুত ছিল না। করোনা মহামারীর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমেই কেবল স্বাস্থ্য খাতের সঙ্কট মোকাবেলা করা সম্ভব। স্বাস্থ্য কিংবা একক কোন বিভাগের মাধ্যমে যা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের গবেষণা খাতে এতদিন বরাদ্দ ছিল নামমাত্র। করোনাকালে গবেষণার বিষয়টি সামনে আসে এবং বিভিন্ন মহল থেকে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ‘সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল’ নামে এক প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু অর্থবছরের ১১ মাস চলে যাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গবেষণার নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেননি। ফলে, বরাদ্দ অর্থ অলস পড়ে আছে, যা দুঃখজনক। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গবেষণার অর্থ ব্যয় না হওয়ার জন্য আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেছেন। যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমলাতন্ত্র পরিচালনা করেন তারা কি দায় এড়াতে পারেন? অর্থবছরে গবেষণার কাজে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেও অর্থ ব্যয় করা যায়নি। তার অর্থ হলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে।কোভিড মহামারী মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব গবেষণা অনেকভাবে সহায়ক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বারবার এ বিষয়ে তাগিদ দিচ্ছেন। বিশেষত করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং বা জিন বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশে এটা প্রমাণ হয়েছে। আমাদেরও গবেষণার উদ্যোগ নেয়ার বিকল্প নেই। সুযোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত কর্তাব্যক্তিরাই কেবল স্বাস্থ্য খাতে জনকল্যাণে অবদান রাখতে পারেন। তাই, প্রয়োজন শুদ্ধি অভিযান। দুর্নীতিগ্রস্ত, অলস ও অযোগ্যদের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সরানো অত্যন্ত জরুরি।