৬ উইকেটে জয় পেল বাংলাদেশ

0

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল টাইগাররা । সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে টাইগার বাহিনী। জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৩৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দশ ওভার খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। অল্প পুঁজি নিয়েও সমানতালে লড়ে যায় সফরকারীরা। তবে শেষদিকে, অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয়ের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৯ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথমে টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও জয়লর্ড গাম্বি বেশ হাসফাস করতে থাকেন প্রথম থেকেই। নিজের প্রথম ওভার বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে মারুমানিকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। পাওয়ার প্লে শেষ হতে না হতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে সাইফউদ্দিনকে তুলে মারতে যান গাম্বি। এজ হওয়া বল মিড অফে ধরেছেন শান্ত। দশম ওভারের প্রথম বলে রিশাদ হোসেনকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে যান রাজা। ডিপ এক্সট্রা কাভারে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরেন শান্ত। দশম ওভারেই জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন রিশাদ। একই ওভারের তৃতীয় বলে কাভার ড্রাইভ করতে যান ক্লাইভ মাদান্দে। এজ হওয়া বল স্লিপে ধরেন তানজিদ হাসান তামিম।

৪২ রান তুলতেই পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে। তবে সেখান থেকেই শুরু হয় জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেটের লড়াই। দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৩ রান। এর মধ্যে ক্যাম্ববেল একাই করেন ৪৫ রান, তাও মাত্র ২৪ বলে। জিম্বাবুয়ের জার্সিতে অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে এটাই সর্বোচ্চ ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি ও ৩টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৮।
জিম্বাবুয়ের ১৩৮ রান টপকাতে গিয়ে ১৯তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় স্বাগতিক দলকে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে জয় এলেও খুব একটা দাপট দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। দলকে জিতিয়ে ২৫ বলে ৩৭ করে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। তার সঙ্গে ২৯ বলে ৪৯ রানের জুটিতে মাহমুদউল্লাহ করেন ১৬ বলে ২৬ রান।