রোনালদো ফিরতেই ইউরোপে দুর্দান্ত জুভেন্টাস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ তিনি না থাকলে কতটা ব্যবধান তৈরি হয়, সেটি আসলে বোঝানোর প্রয়োজন পড়ে না। এরপরও বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচটি সামনে আনা যেতে পারে। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো না থাকায় ঘরের মাঠে কাতালাদের কাছে প্রথম হারের তিক্ততা পেতে হয়েছে জুভেন্টাসকে। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়ে পর্তুগিজ যুবরাজ ফিরতেই ইউরোপে আবার জয়ের সৌরভ ছড়িয়ে দিলো ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। হাঙ্গেরিয়ান ক্লাব ফেরেঙ্কভারোসের মাঠ থেকে ফিরেছে ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়ে। রোনালদোর গোল পাননি, দারুণ পারফরম্যান্সে সতীর্থদের গোলে অবদান রেখেছেন। বার্সেলোনার বিপক্ষে আগের ম্যাচে তিনবার বল জালে জড়িয়েও অফসাইডে বারবার হতাশ হওয়া আলভারো মোতারা এ ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল। তার সঙ্গে পাউলো দিবালার স্কোরশিটে নাম তোলার পর আত্মঘাতী গোলে জয়ে ফিরেছে জুভেন্টাস।
ফেরেঙ্কভারোস ম্যাচ দিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ প্রথমবার মাঠে নামলেন রোনালদো। করোনা পজিটিভ হওয়ায় সাবেক রিয়াল ফরোয়ার্ড ডায়নামো কিয়েবের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতার ম্যাচ এবং বার্সেলোনার কাছে ২-০ গোলে হারের ম্যাচে দর্শক হয়ে ছিলেন। হাঙ্গেরিয়ান ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নেমে চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি মৌসুম খেলার রেকর্ডে শীর্ষে থাকা ইকের কাসিয়াসের আরও কাছে চলে গেলেন তিনি। সাবেক স্প্যানিশ গোলকিপার খেলেছেন সর্বোচ্চ ২০ মৌসুম, আর এবার দিয়ে রোনালদোর চ্যাম্পিয়নস লিগে মাঠে নামছেন ১৮তম বার। ইউরোপিয়ান প্র্রতিযোগিতায় ফেরার ম্যাচে চতুর্থ মিনিটেই গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন রোনালদো। যদিও স্বাগতিক গোলকিপারের রুখে দেন তার শট। যদিও প্রথম গোল পেতে খুব বেশি অপেক্ষায় থাকতে হয়েনি জুভেন্টাসের। সপ্তম মিনিটেই সফরকারীদের এগিয়ে নেন মোরাতা। দ্বিতীয় গোলের জন্য অবশ্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ৬০ মিনিটে গিয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোরাতা। রোনালদোর ক্রস থেকে সহজেই বল জালে জড়ান আতলেতিকো থেকে ধারে জুভেন্টাসে খেলতে আসা এই স্ট্রাইকার। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামা দিবালা ৭২ প্রতিপক্ষের গোলকিপারের ভুলে ব্যবধান করেন ৩-০। এরপর ৮১ মিনিটে লাশা দিভালি নিজেদের জালেই বল জড়ালে জয়ের উৎসব শুরু হয়ে যায় জুভেন্টাসের ডাগআউটে। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ফ্রাঙ্ক বোলির গোলটা কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে হাঙ্গেরিয়ান ক্লাবটির। ‘জি’ গ্রুপে দ্বিতীয় জয়ে ৩ ম্যাচে জুভেন্টাস ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে ফেরেঙ্কভারোস। টানা তিন ম্যাচ জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা।