স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার পরও নিজের পিস্তল হেফাজতে রাখায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে কোতোয়ালি থানায় এস.আই শেখ সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছিল যে, যাদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে, তাদের ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরকারি দফতরে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা অস্ত্র জমা দেননি এবং যারা নির্দেশনা অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকে অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, শাহীন চাকলাদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার পিস্তল সরকারি দফতরে জমা দেননি। সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে তিনি গত ৫ আগস্ট থেকে সেই পিস্তলসহ আত্মগোপনে আছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই তারেক মোহাম্মদ নাহিয়ান শাহীন চাকলাদারের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার বাড়িতে অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি যাচাই করতে যান। সে সময় তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, শাহীন চাকলাদার ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে পিস্তলটি নিজের কাছে রেখে আত্মগোপনে রয়েছেন।

এসআই শেখ সাইফুল ইসলাম মামলায় উলে¬খ করেছেন যে, শাহীন চাকলাদার অস্ত্রসহ আত্মগোপনে থেকে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা দুষ্কৃতকারীদের অবৈধ কার্যকলাপে তার অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. আবুল হাসনাত খান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থানার অভিজিৎ সিংহ রায়কে, এবং তিনি এ বিষয়ে কাজ করছেন।