কেশবপুরে ইটভাটা শ্রমিক রওশনারা হত্যায় প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামে ইটভাটা শ্রমিক রওশনারা বেগমকে হত্যার দায়ে নিহতের প্রেমিক আলাউদ্দিন গাজীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন গাজী কাশিমপুর গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন বলে আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল কেশবপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের জনৈক আশরাফের বাঁশবাগান থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের আব্বাস আলী কেশবপুরে এসে লাশটি তার মেয়ে রওশনারা বেগমের বলে শনাক্ত করেন। এরপর তিনি অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তদন্তকালে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইটভাটা শ্রমিক আলাউদ্দিন গাজীকে আটক করে। আটকের পর আলাউদ্দিন গাজী হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, আলাউদ্দিন গাজী খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার প্রফুল্লর ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। রওশনারা বেগমও একই ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ নেন। সেখানে কাজ করার সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে রওশনারা বেগম বিয়ে করার জন্য আলাউদ্দিন গাজীকে চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু আলাউদ্দিন গাজী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে দুই জনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল রাতে আলাউদ্দিন গাজীর বাড়ির সামনে এসে তাকে মোবাইল ফোন করে দেখা করতে বলেন রওশনারা বেগম। এ সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে রওশনারা বেগমকে নিয়ে পাশের আশরাফের বাঁশবাগানে যান আলাউদ্দিন গাজী। সেখানে তারা দুই জনে কথা বলার এক পর্যায়ে তর্কাতর্কি হয়। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে আলাউদ্দিন গাজীর অন্ডকোষ চেপে ধরেন রওশনারা বেগম। এ সময় আলাউদ্দিন গাজী গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রওশনারা বেগমকে এবং লাশ বাঁশবাগানে ফেলে রেখে যান।