চৌগাছায় প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা, বেড়েছে সবজির দাম

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু,চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় মাহে রমজানের আগের দিন শনিবার বাজার ছিলো লোকে লোকারণ্য। সাপ্তাহিক হাটের দিন না হলেও শুধুমাত্র রমজান উপলক্ষ্যে বাজারে মানুষের উপে পড়া ভিড় বলে জানা গেছে। মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি ও কেনাকাটা বেশি করায় সুযোগ নিয়েছেন সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে সবজি ব্যবসায়ীরা যে যেমন ইচ্ছা তেমন দাম হাকিয়ে বিক্রি করেছেন অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন সমাজের নি¤œআয়ের মানুষেরা।
এ দিন দুপুরে চৌগাছার প্রধান সবজি বাজারসহ হাটচাঁদনি সবজি বাজার,মুদি দোকান, মাছ বাজার ও মুরগি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক হাটের দিনেও এমন মানুষ চৌগাছা বাজারে আসে না। ব্যবসায়ী হোসেন আলী, বিল্লাল হোসেন বলেন, মানুষ রোজা উপলক্ষ্যে যে ভাবে কেনাকাটা করছে তাতে মনে হচ্ছে আগামীকাল ঈদ।
সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি সবজির দাম কয়েকগুন বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কম এবং চাহিদা বেশি বলে দাম বেড়েছে দাবি করলেও ক্রেতাসাধারণ মানতে নারাজ। মাহে রমজানের আগের দিনে চৌগাছা বাজারে ১টি কাগজে লেবু ২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে যা অতীতের যে কোন রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে মনে করছেন সকলে। এছাড়া পাকা কলা রোজার দ্ ুদিন আগেও ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও শনিবার তা ৬০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অনুরুপ ভাবে দ্ ুদিন আগে ৪০ টাকার বেগুন বেড়ে ৮০ টাকায়, ৫০ টাকার শশা বেড়ে ৮০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, টমেটো ৪০, উচ্ছে ১০০, পেঁয়াজ ৫০, রসুন ১২০, কাঁচা মরিচ ৬০, ঢেঁড়স ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতি এমনকি শুক্রবারেও আমরা বাজারে পাইকারি যে দামে সবজি কিনেছি শনিবার বেশি দরে কিনতে হয়েছে তাই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে মুদি মালামালের দাম সে ভাবে বৃদ্ধি পায়নি বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান।
রমজান তাই কিছু কাঁচা তরকারি আর তেল ছোলা কিনতে এসেছেন ভ্যানচালক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, যে ভাবে সবজিসহ বেশ কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে তা আমাদের মত মানুষের খাওয়া সম্ভব না। অল্প কিছু সদয় নিয়ে বাড়ি ফিরছি। গৃহবধূ উম্মে সালমা, রহিমা বেগম বলেন, মুদি দোকানের মালামালের দাম সেই আগের মত থাকলেও সবজি বাজারে যেন আগুন লেগেছে। দেখা যাক দাম কমে কিনা সেই আশায় অল্প কিছু কেনাকাট করেছি।
বাজার তদারকি করে পণ্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকার মানুষ।