হত্যার পনের বছর পর আদালতে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের শহিদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ১৫ বছর পর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের ঘটনায় থানায় কোন আছে কিনা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শার্শা থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মাধবেন্দ্র অধিকারী।
আসামিরা হলেন, শার্শা উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের শামসুদ্দিন মোড়লের ছেলে মতিয়ার রহমান, আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল গফুর, আরজুল্লাহর ছেলে আব্দুস সাত্তার, মৃত উসমান মোড়লের ২ ছেলে জামাল উদ্দিন ও সালাউদ্দিন, নুজুর আলীর ২ ছেলে মাহাবুর রহমান ও নাজিম এবং মৃত লালচান লালুর ছেলে রওশন আলী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। তাদের সাথে শহিদ আলীর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছিলো। ২০০৯ সালের ৩ মে শহিদ আলীর একটি ছাগল আসামি মাহাবুরের ক্ষেতের ফসল খায়। এরই জের ধরে আসামিরা ওইদিন বিকেলে শহিদ আলীর বাড়িতে হামলা করেন। তারা বাড়িঘর ভাঙচুর, লুট এবং শহিদ আলীকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আসামিরা চলে যান। কিন্তু আসামিদের ভয়ে গুরুতর আহত শহিদ আলীকে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়নি। দুই দিন পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সকলের অগোচরে বাগআঁড়ার একটি ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শহিদ আলীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তুক্রমশ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর শহিদ আলীকে যশোর শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলে ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান শহিদ আলী। তবে আসামিদের হুমকির কারণে ওই সময় মামলা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে হওয়ায় নিহতের ভাই আদালতে এই মামলা করেছেন।