ডুমুরিয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রবেশ পথ বন্ধ করে গরুর হাট

0

এম রুহুল আমীন, ডুমুরিয়া (খুলনা)॥ ডুমুরিয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়ে ব্যবসা করছে গরু ব্যবসায়ীরা। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগীরা।
মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের আঠারোমাইল বাজারের খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক সংলগ্ন পূর্ব পাশে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি অবস্থিত। সপ্তাহের প্রতি সোমবার আঠারোমাইল বাজারে গরুহাট বসে। যা সকাল থেকে শুরু করে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সোমবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রবেশের একমাত্র ফটকটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে গরু বেচাকেনা করেন গরু ব্যবসায়ীরা।
এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় গরু ব্যবসায়ীরা বলেন, সপ্তাহে একদিন এটা সহ্য করতে হবে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন শ শ মানুষ এখানে সেবা নিতে আসেন। যাদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধ ও ছোট শিশুরাও রয়েছে। কিন্তু সোমবারে এখানে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাতে সেবা নিতে রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে একজন গর্ভবতী নারী গরু আর মানুষের ভিড় ঠেলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসার সময় গরুর ধাক্কায় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলার মিটিংয়ে আলোচনা করেছি।কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।
ডুমুরিয়া উপজেলা পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তানভির আহম্মেদ বলেন, উপজেলা সমম্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল। সে সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফটকের দুইপাশে বাঁশ অথবা রড দিয়ে রেলিং করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান সেটা কেন করেননি তা আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম হেলাল বলেন, এটি একটি বড় গরুহাট। এ কারণে সব ঠিক রাখা যায়না। তবু আমি চেষ্টা করছি কতদূর কী করা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আঠারোমাইল হাটের ইজারাদার চেয়ারম্যানের নিকটতম লোক। তাকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান হেলাল নেপথ্যে থেকে এই হাট পরিচালনা করেন। এজন্যে তিনি কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
বিষয়টি নিয়ে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে আগে কেউ অবহিত করেনি। তবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রবেশপথ বন্ধ করে কোন অবস্থায় ব্যবসা করা যাবেনা। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।