ভবদহ সমস্যা নিরসনে ১৪০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন

0

স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর,মনিরামপুর ও কেশবপুর (যশোর) ॥ যশোরের ভবদহের পানিবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নদী খনন শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্লুইসগেটের কপাট খুলে দেওয়ার পাশাপাশি নদী খননের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে ভবদহ পানিবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

চার দশক ধরে স্থায়ী পানিবদ্ধতার শিকার যশোরের ভবদহ এলাকার মানুষ। জেলার অভয়নগর, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রাম এখন সমস্যায় জর্জরিত। পানিবদ্ধতা নিরসনে বছরের পর বছর নানা প্রকল্প নেওয়া হলেও তা কাজে আসেনি। বরং ভোগান্তি ক্রমশ বেড়েছে। পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে ৬টি নদী ও শতাধিক খাল।

এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে স্থানীয়রা দীর্ঘ দিন ধরে ভবদহ স্লুইসগেটগুলোর কপাট খুলে দেওয়া ও ভরাট হয়ে যাওয়া নদীগুলো সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে খনন করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্ভোগ আক্রান্ত মানুষের দাবি পূরণ উদ্যোগে নেয়।

তারই অংশ হিসেবে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবদহ অঞ্চলের পাঁচটি নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খননের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নদী খননই ভবদহের ভোগান্তি নিরসনে শেষ কথা নয়। স্থায়ী সমাধানে ধাপে ধাপে স্থানীয় জনগণ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কাজ করবে সেনাবাহিনী।

এদিকে নদী খনন প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন ও তদারকির আশ্বাস দেন এ প্রকল্পে নিযুক্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুন উর রশিদ।

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার বিশ্বাস, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এরআগে ওয়ান ইলেভেনের সরকারের আগে বিএনপি জোট সরকারের আমলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ভবদহ। তখন এ সমস্যা নিরসনে জোটের এমপি এমএম আমিন উদ্দিন আমডাঙ্গা খাল খনন করে পানি সমস্যার সমাধান করেন। পরে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রকল্পের পর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। খরচ করা হয় কোটি কোটি টাকা। কিন্তু দুর্নীতির কারণে তা কোন কাজে আসে না।