রামপালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম তদন্তে কালক্ষেপণের অভিযোগ

0

 

রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ রামপালে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করার পরে প্রায় ৬ মাস গত হলেও প্রতিকার পাননি অভিযোগকারী অভিভাবক। তদন্তের নামে কালক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ১১৯ নং কদমদী বামনডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেন অভিভাবক মো. আবুল কাসেম। তিনি জানান, তার ছেলে আল সামি গত ৩ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছে। আল সামি ক্লাসে বরাবর ভালো রেজাল্ট করে আসছে। সে বর্তমানে ৩য় শ্রেণির ছাত্র। ২য় শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়েছে ৭ টি বিষয়ে। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা সামসুন্নাহার ৩ টি বিষয়ের মার্ক সংযোজন করেন প্রগতিপত্রে। ৪ টি বিষয় অজ্ঞাত কারণে বাদ দিয়ে সামির প্রগতিপত্রে ৩য় স্থান নির্ধারণ করেন ওই প্রধান শিক্ষিকা। অভিভাবক আবুল কাসেম ছেলে প্রগতিপত্র দেখে হতাশ হন। এক পর্যায়ে তিনি নম্বরপত্রের বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।
এতসব অভিযোগের পরেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান তদন্তের নামে কালক্ষেপণ ও গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ করেন অভিযোগকারী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা সামসুন্নাহারের মুৃঠোফোনে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে শিক্ষিকারাসহ কয়েকজন ষড়যন্ত্র করছে।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের চিঠি পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে যথাসময়ে রিপোর্ট দিয়েছেন। তিনি কোন কালক্ষেপণ করেননি বলে দাবি করেন।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরার দৃষ্টি আকশষণ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।