নজরুল ইসলাম মল্লিক, অভয়নগর (যশোর) ॥ অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অনলাইন জুয়া খেলা ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজে পড়া শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকে পড়ছে এ খেলায়। নির্জন এলাকায় গড়ে ওঠা ছোট ছোট চায়ের দোকানেও বসে অনলাইন জুয়ার আসর। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই কোনো সুনিদ্দিষ্ট তথ্য।
উপজেলার একতারপুর গ্রামের একজন জুয়াড়ি জানান, তিনি সিএনজি চালক। ছয় মাস আগে এক বন্ধুর মাধ্যমে অনলাইন জুয়ার সাথে তার পরিচয় ঘটে। লোভে পড়ে একে একে তার চারটি গরু বিক্রি করে পাঁচ লাখ টাকা চলে গেছে। তিনি বলেন, ‘বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এখন আমি পুরোপুরি নিঃস্ব।’
পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজের একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে অনলাইন জুয়া খেলে সব টাকা নষ্ট করে ফেলেছি। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে না পেরে বন্ধুরা পা বাড়াচ্ছে অপরাধ জগতে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। আমার বন্ধুরা সবাই এখন এই অনলাইন জুয়া খেলে।
সূত্র জানান, জুয়ায় আর্থিক লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও লেনদেন করা যায়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে আমি শুনেছি অনলাইন জুয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। আমরা চেষ্টা করছি এজন্টেদের ধরতে। তাদের ধরতে পারলে অনলাইন জুয়ার প্রসার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।