যশোর জেনারেল হাসপাতালে চুরির সময় কর্মচারীসহ আটক ২

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মালামাল চুরি করার সময় হাসপাতালের সুইপার দিলীপ কুমার ও ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম হাতেনাতে ধরা পড়েছে। পরে তরিকুল ইসলামকে কোতয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হলেও দিলীপ কুমারকে জরিমানা করে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ছেড়ে দিয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছেন, হাসপাতালের পুরনো লকার, টলি, এসির পাইপসহ প্রচুর জিনিসপত্র ইতোমধ্যে চুরি হয়ে গেছে। যার সব তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে নেই। কর্মচারীরা এ চুরির সাথে জড়িত।
বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে হাসপাতালের আরএমও’র পরিত্যক্ত ভবনের প্রাচীরের ভেতরে রাখা পুরনো লকার, বেড ও অন্যান্য জিনিসপত্র সুইপার দিলীপ কুমার ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলামকে ডেকে এনে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় লোকজন দেখতে পেয়ে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হারুন অর রশীদকে ঘটনা জানান। তখন তত্ত্বাবধায়ক নিজে অপর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদকে দিয়ে তাদের ধরে কার্যালয়ে নিয়ে যান। এরপর তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হারুন অর রশীদ পুলিশ ডেকে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলামকে কোতয়ালি থানায় সোপর্দ করেন। তরিকুল ইসলাম শহরের ঝুমঝুমপুর এলাকার শমসের আলীর পুত্র। তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিলীপ কুমার ওই মালামাল বিক্রি করার জন্য তাকে ডেকে আনে।
সূত্র জানিয়েছে, ওই মালামাল চুরি করার সময় কর্মচারী পরিতোষ কুমারসহ কয়েকজন কর্মচারী সেখানে উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করায় দায়মুক্ত হয়ে যায়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কর্মচারী কর্তৃক মালামাল চুরি করার ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, যত মালামাল চুরি হয়েছে সব সেই-ই (দিলীপ কুমার) চুরি করেছে। তাই, তাকেজরিমানা করা হয়েছে। তার সহযোগী তরিকুল ইসলামকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।