কপিলমুনির নার্সারিগুলোতে তালের চারা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে

0

এইচ,এম,শফিউল ইসলাম,কপিলমুনি (খুলনা) ॥ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নার্সারিতে তালের চারা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তালের চারার চাহিদা বাড়ায় নার্সারিগুলোতে প্রচুর পরিমাণ চারা তৈরি করা হচ্ছে।
পাইকগাছার সততা নার্সারিতে গত মৌসুমে প্রায় ৮০ হাজার তালের চারা তৈরির পরিচর্যা চলছে। চলতি মৌসুমে মায়ের দোয়া নার্সারিতে প্রায় ৩২ হাজার চারা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। তাল গাছ প্রকৃতির বন্ধু ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী বৃক্ষ। তালগাছ পরিবেশ বান্ধব ও বজ্রপাত থেকে রক্ষাকারী গাছ। তালগাছ ভূমির ক্ষয়রোধ ও পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তালের চারা রোপণ করা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।
বাংলাদেশের সব এলাকায় কমবেশি তাল উৎপাদন হলেও ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, রাজশাহী ও খুলনা এলাকায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়। কপিলমুনির ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জানান, তিনি তার এলাকায় প্রচুর নারকেল ও তাল বৃক্ষ রোপণ করেছেন।
পাইকগাছার গদাইপুরে সততা নার্সারীতে তালের চারা তৈরির জন্য গত বছর দেড় লাখ তাল বীজ বপণ করা হয়। সততা নার্সারির মালিক অশোক কুমার পাল জানান, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তালের চারা উৎপদন করছে। গত বছর দেড় লাখ তালবীজ থেকে ৮০ হাজার তালের অংকুরিত বীজ রোপণসহ আনুসঙ্গিক খরচ হয়েছে ৯ লাখ টাকা। এখনো চারা তৈরির পরিচর্যার কাজ চলছে। মায়ের দোয়া নার্সারির মালিক ইউছুপ গাজী জানান, প্রায ৩২ হাজার চারা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। ২৫ হাজার চারা টিকতে পারে, সব আটি থেকে চারা বের হয় না। চারা তৈরি করতে তার প্রায় ছয় লাখ টাকা খরচ হচ্ছে।