বাগেরহাটে দুগ্ধ খামারে আগুন, ১৫ গরু দগ্ধ

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটে দুবৃত্তের আগুনে একটি দুগ্ধ খামারের ১৬টি গরু দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু মারা গেছে। এছাড়া বেশকিছু গাভী আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। বুধবার গভীর রাতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের নাজমুল আলম রুবেলের মালিকানাধীন শেখ ডেইরি ফার্মে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি খামার মালিকের।
ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক নাজমুল আলম রুবেল (৩৭) চাপাতলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। রুবেল দীর্ঘদিন কোরিয়া ছিলেন। কোরিয়া থেকে দেশে ফিরে গরুর ফার্ম করেন। তার ফার্মে প্রতিদিন ৯০ লিটার দুধ উৎপাদন হতো। মিল্ক ভিটা কোম্পানিকে তিনি দুধ সরবরাহ করতেন।
এদিকে গরুর ফার্মে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমানসহ প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাগণ।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বাগেরহাটের মাঠকর্মী তারিক হোসেন বলেন, খবর শুনে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দগ্ধ গরুগুলোকে সেবা প্রদান করি। বেশিরভাগ গরুগুলোর শ্বাসনালীসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান আক্রান্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিক নাজমুল আলম রুবেল বলেন, গরুগুলো ফার্মে ছিল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিল। হঠাৎ রাত ১১টার দিকে কুকুরের ডাকাডাকিতে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে গোয়ালে এসে গরুর দড়ি খুলে দিয়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করি। চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে সবগুলো গরুই আগুনে দগ্ধ হয়। পরে একটি গরু মারা যায়। পরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের গোয়ালে আগুন দেয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন প্রবাস ফেরত এই উদ্যোক্তা।
নাজমুল আলম রুবেলের পিত রুহুল আমিন বলেন, ছেলে বিদেশ থেকে ফিরে আসলে ব্যাংক ঋণ নিয়ে তাকে খামার করে দিয়েছিলাম। গরুগুলো আক্রান্ত হয়ে আমরাতো নি:স্ব হয়ে গেলাম। এই অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমান বলেন, বিভিন্ন বয়সের ১৬টি গরু আক্রান্ত হয়েছে। একটি গরু মারা গেছে। কয়েকটি গরুর শতভাগ চামড়া পুড়ে গেছে। আমরা সবাই মিলে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আক্রান্ত গরুগুলোর সার্বিক খোঁজ -খবর নেয়া হচ্ছে।