টি-টোয়েন্টিতে ওপেনারদের ‘টুক টুক ব্যাটিং’য়ে গেইলের ক্ষোভ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অবিসংবাদিত কিংবদন্তি ক্রিস গেইল। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তার চেয়ে বেশি রান, সেঞ্চুরি, ফিফটি কিংবা ছক্কা নেই আর কোনো ব্যাটারের। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এই সংস্করণের অত্যধিক জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ ইনিংসের শুরুতেই গেইলের মারদাঙ্গা ব্যাটিং। কিন্তু বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওপেনারদের ব্যাটিংয়ের ধরন অনেকটাই বদলে গেছে। প্রায় সব দলের উদ্বোধনী ব্যাটাররাই ইনিংসের সূচনা করেন রয়েসয়ে। যা একদমই পছন্দ নয় গেইলের। এ কারণে হালের টি-টেন লিগকেই বেশি ভালো লাগছে দ্য ইউনিভার্স বসের। বর্তমানে টিম আবুধাবির হয়ে টি-টেন লিগ খেলছেন গেইল। শুক্রবার রাতে বাংলা টাইগার্সের বিপক্ষে তিন চার ও পাঁচ ছয়ের মারে মাত্র ২৩ বলে ৫২ রানের ঝড় তুলেছেন তিনি। তবে তার দল ম্যাচটি হেরেছে ১০ রানে। ম্যাচ শেষে টি-টোয়েন্টি ও টি-টেন নিয়ে কথা বলেছেন ক্যারিবীয় তারকা।
তার ভাষ্য, ‘এখন টি-টেন ক্রিকেটে যা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টির শুরুটাও এমনই হয়েছিল। প্রথম ওভার থেকেই ব্যাটাররা মেরে খেলতে শুরু করতো। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এরপর থেকে অনেক ধীরগতির হয়ে গেছে। টি-টেন ক্রিকেট এসে এখন আবার মারমুখী ব্যাটিংয়ের মানটা আরেকটু উঁচুতে নিয়ে গেছে।’ সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লে গড়ে ৫০ রানের বেশি করেছে মাত্র একটি দল, ভারত। বাকি সব দল প্রথম ছয় ওভারে গড়ে ৪০-৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি। দেখেশুনে ইনিংস শুরু করাটা কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের মজা নষ্ট করে দিচ্ছে বলে মনে করেন গেইল। তিনি বলেন, ‘একেবারে সোজা কথায় বললে, টি-টোয়েন্টিতে ওপেনাররা মজাটা নষ্ট করে দিচ্ছে। কারণ প্রথম ছয় ওভারে (পাওয়ার প্লে) আমরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা আরও বেশি রান করতে পারি, কিন্তু এখনকার ব্যাটসম্যানরা আক্রমণ শুরু করতে অনেক বেশি সময় নিচ্ছে।’
গেইল আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যে ওপেনাররা হয়তো বড় ইনিংস খেলতে চায়। তখন প্রথম ছয় ওভারে তাদের ব্যাটে যে আগ্রাসন থাকা উচিত, সেটা আর থাকে না। কিন্তু টি-টেন একেবারে ঠিক আছে। আশা করি, সামনে আরও বেশি বেশি টি-টেন ক্রিকেট দেখবো।’ ‘প্রথম ছয় ওভারে কেন ব্যাটসম্যানরা এত খাঁচাবন্দী হয়ে থাকে, আমি বুঝতে পারি না। এখনকার এ ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে না। আমার মনে হয় আমাদের শুরু থেকেই চালিয়ে খেলা উচিত। টি-টোয়েন্টির যে বিনোদন সেটি ঠিক রাখা উচিত। প্রথম ছয় ওভারে আগ্রাসী ব্যাটিং করা উচিত।’