গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর শুনানি কতদূর

0

মুহাম্মদ ফজলুল হক॥ দেশে মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। কমছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। করোনাকালীন বিভিন্ন বিধিনিষেধ এরই মধ্যে তুলে নিয়েছে সরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টেও সশরীরে শুরু হয়েছে বিচার কার্যক্রম। গত ১১ আগস্ট থেকে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ পুরোদমে বিচারিক কাজ চালাচ্ছেন। বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত ও একক মিলে ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। একই সময়ে দেশের সব নিম্ন (বিচারিক) আদালতও খুলেছে।
তবে করোনাকালীন শুনানি স্থবিরতায় সর্বোচ্চ আদালতে আলোচিত অনেক মামলা, যেগুলোর শুনানি বা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এর মধ্যে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, সিলেটের রাজন হত্যা মামলা, পুলিশ দম্পতি হত্যায় একমাত্র সন্তান ঐশীর মামলা, ফেনীর নুসরাত হত্যা মামলা, বরগুনার রিফাত হত্যা মামলা, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলা, হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামালার আপিল ও রমনা বটমূলে হামলার ডেথ রেফারেন্সসহ আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্য মামলা রয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে অনলাইনে অর্থাৎ ভার্চুয়ালি অনেক মামলার শুনানি চলছে। কিন্তু অনেক চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হচ্ছে না। সেজন্য মামলার বাদী, বিবাদী, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন, বিচারকাজে এ শ্লথগতিতে আলোচিত মামলাগুলোর কী হবে? ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা হানা দিলে অন্য সব ক্ষেত্রের মতো উচ্চ আদালতের কার্যক্রমেও স্থবিরতা নামে। তখন টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে বিধিনিষেধ ক্রমে শিথিল হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকা চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত মামলাগুলোও সচলের উদ্যোগ হয়। কিন্তু ২০২১ সালের মার্চের শেষ দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রকট আকার ধারণ করলে আবারও আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা আসে। আবারও এসব মামলার বিচারকাজ থমকে যায়। এতে একদিকে যেমন বিচারপ্রার্থীদের অপেক্ষা বাড়ছে, অন্যদিকে কারাগারে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে ন্যায়বিচারপ্রার্থী বহু আসামির। আইনজীবীরা বলছেন, দুই দফায় করোনা মহামারির কারণে উদ্যোগ নেওয়ার পরও আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মামলার চূড়ান্ত বিচার কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। দ্রুতই হয়তো এসব মামলার বিচারকাজে গতি ফিরবে। এ বিষয়ে সাবেক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে শুনানির ব্যবস্থা হয়। দরকার হলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মামলার পেপারবুক প্রস্তুত ও শুনানি হতে পারে। এসব প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পারে মামলাগুলোর শুনানির উদ্যোগ নিতে।
ক্রিমিনাল বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেন, আমরা তো আসামিপক্ষের আইনজীবী। কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা চাঞ্চল্যকর মামলার শুনানি হবে কি না, সেটি আমরা বলতে পারি না। তবে মামলা শুনানির জন্য কাযর্তালিকায় (কজলিস্টে) এলে, আমরা তা শুরু করতে প্রস্তুত। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে এখন কোর্টের কার্যক্রমে স্বাভাবিকতা ফিরেছে। লকডাউনে আদালত সীমিত পরিসরে চলায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি সম্ভব হয়নি। এখন যেহেতু আদালত খুলেছে, আমরা পর্যায়ক্রমে এসব আলোচিত মামলার শুনানির উদ্যোগ নেবো। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, এখন সরকারঘোষিত লকডাউন নেই, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগও চলছে। সর্বোচ্চ আদালত খোলায় আমরা খুশি। আশা করি আগের মতো আদালত চলবে। ক্লায়েন্টদের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এখন আমরা দুদকের যেসব গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলা রয়েছে, সেগুলো শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছি এবং এ উদ্যোগে আরও গতি বাড়বে। বিচারপ্রার্থী আইনজীবীরা বলছেন, উচ্চ আদালতে উল্লেখযোগ্য হারে মামলা নিষ্পত্তি হলেও জট কমছে না। এর অন্যতম কারণ, পুরোনো ও চাঞ্চল্যকর মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া। সার্বিক পরিস্থিতিতে মামলাজট কমানো ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে এসব মামলার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যদিও রাষ্ট্রপক্ষ ও অন্য আইনজীবীদের প্রত্যাশা, শিগগির ঝুলে থাকা মামলাগুলোর আপিলসহ অন্য কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ আসবে। অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর সব মামলা শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে তালিকা ধরে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে শুনানি হবে। এক্ষেত্রে পিলখানা হত্যা মামলা, হলি আর্টিসান মামলা, ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামি জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও হবিগঞ্জের সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের রিভিউ আবেদন অগ্রাধিকার পেতে পারে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, করোনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনানি অপেক্ষমাণ। এসব মামলার শুনানি শেষ হলে দ্রুত নিষ্পত্তিও হয়ে যাবে। এ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচএমপিবি) চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আমার মনে হয়, আপিল বিভাগের অনেক হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আবেদনেরও শুনানি হচ্ছে। বড় বড় অনেক মামলায় ভার্চুয়ালি শুনানি সম্ভব। অনলাইনে (ভার্চুয়াল) কোর্ট পরিচালনার সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।
আপিল বিভাগে যেসব আলোচিত মামলার শুনানি হতে পারে
পিলখানার বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলায় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন শুনানির অপেক্ষায়। এছাড়াও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামিপক্ষের আপিল আবেদন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের মামলায় দলটির পক্ষ থেকে করা আপিল আবেদন, পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তাদের কন্যা ঐশী রহমানের পক্ষে আবেদন, আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য রয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগে শুনানি হতে পারে যেসব আলোচিত মামলার
গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় নারকীয় হামলা মামলায় আসামিপক্ষের জেল আপিল, ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন), ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, রমনার বটমূলে বোমা হামলাসহ বেশকিছু মামলা হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায়। পেপারবুক প্রস্তুতির পর্যায়ে শুনানির দিন গুনছে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলাও। এছাড়াও পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ হত্যা ও খুলনায় শিশু রাকিব হত্যা মামলার চূড়ান্ত বিচার প্রক্রিয়াও আটকে আছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের সবকটি বেঞ্চ ভার্চুয়ালি চালু করেছেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আইনজীবীদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি, যেন আগাম জামিন শুনানির ব্যবস্থা করা হয়। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশে করোনার কারণে সরকারঘোষিত লকডাউনে সর্বোচ্চ আদালত বন্ধ ছিল। এখন কোর্ট খুলে দেওয়ায় আইনজীবীরা এটা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তবে মামলার শুনানি করা না করা আদালতের ইচ্ছের ওপর নির্ভর।
আপিল শুনানির অপেক্ষায় রাজন হত্যা মামলা
সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলা প্রায় চার বছর ধরে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায়। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, শিশু রাজন হত্যা মামলার আপিল বর্তমানে কোন পর্যায়ে আছে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে আপিল বিভাগে মামলার ধারাবাহিকতায় আপিল শুনানি হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এ হত্যা মামলার আপিল শুনানি হবে।
নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার শুনানি আপিলে
নারায়ণগঞ্জে বহুল আলোচিত সাত খুন মামলায় সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, এম এম রানা, সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড উচ্চ আদালতে বহাল থাকলেও, আসামিরা সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করায় মামলাটি এখনো বিচারাধীন। করোনার কারণে এ মামলার আপিল শুনানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
শুনানির চূড়ান্ত পর্যায়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো হয়েছিল নারকীয় গ্রেনেড হামলা। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ বর্বরোচিত হামলা চালায় ঘাতকেরা। ওই ঘটনায় পৃথক দুই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে অভিন্ন রায় ঘোষণা হয়। এখন তা হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানি পর্যায়ে রয়েছে।
গুলশান হামলার আপিল
২০১৬ সালের ১ জুলাই জঙ্গিরা রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৮ জন বিদেশি নাগরিক। পরে জঙ্গিদের দমনে কমান্ডো বাহিনী অভিযান চালায়, সে অভিযানে জঙ্গিদের ছয়জন নিহত এবং একজন আটক হয়। ভয়াবহ সেই হামলার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে নিম্ন আদালতে এ হামলা মামলায় সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ের পর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের (ডেথ রেফারেন্স) শুনানি এখনো শুরু হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, হলি আর্টিসান হামলা ছিল রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। নিম্ন আদালতে সাত জঙ্গিকে দেওয়া ফাঁসির রায় বহাল রাখতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য পেপারবুক গত বছরই (২০২০ সালে) প্রস্তুত করতে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়েছে।
রমনা বটমূলে হামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণে বোমা হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিল শুনানি দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠেছিল। হাইকোর্টে গত ২ নভেম্বর আপিল আবেদনটি বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ছিল। পরে শুনানি নিয়ে কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে মামলাটি একাধিকবার কার্যতালিকায় এলেও শুনানি হয়নি। সবশেষ গত ২৪ জুন এবং এর আগে ১৪ মার্চ কার্যতালিকায় এসেছিল। বারবার কার্যতালিকা থেকে শুনানি বাদ দেওয়ার আদেশের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম আশরাফুল হক জাগো নিউজকে বলেন, এ মামলা যে দুজন বিচারপতির বেঞ্চে আংশিক শুনানি হয়েছিল, বর্তমানে সেই দুই বিচারপতি এক বেঞ্চে না থাকায় বিশেষ বেঞ্চে বসে তারা বিষয়টি কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দিয়ে আদেশ দেন। এখন নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেওয়ার পরে শুনানি হবে।