যা যা বললেন মুহিবুল্লাহর স্ত্রী, ভাই ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রোহিঙ্গা কমিউনিটির শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনা নিয়ে শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।মহিবুল্লাহকে যে স্থানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেখান থেকে আল-জাজিরার রিপোর্টার তানভীর চৌধুরী বলেছেন, “ক্যাম্পে অস্বস্তিকর নীরবতা বিরাজ করছে। এখানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে”। নিহত মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা বেগম আল-জাজিরাকে বলেছেন, “তিনি (মুহিবুল্লাহ) আমাকে অনেক দায়িত্ব দিয়ে চলে গেছেন। আমি বিধ্বস্ত, এখন আমি কিভাবে সংসার চালাবো? সামনে কঠিন পথ। আমি এখন এখানে থাকতে ভয় পাচ্ছি, আমাদের নিরাপত্তা দরকার। ” রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ কাসিম কথা বলার সময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, “বহু বছর ধরে, আমরা মহিবুল্লাহকে দেখছি, অনুসরণ করছি৷ তিনি ছিলেন আমাদের সম্পদ। আমাদের জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন, কিন্তু আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। তিনি আমাদের ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের কাহিনী বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেছেন।”
মহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ যিনি বলেছিলেন যে তিনি তার ভাইকে গুলি খেতে দেখেছেন, তিনি সাংবাদিকদের জানান, হামলার সময় হামলাকারীরা তাদের মুখ ঢেকে রেখেছিল। কিন্তু তিনি তাদের কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন। হাবিবুল্লাহ বলেন, “তারা তাকে হত্যা করেছে কারণ তিনি (রোহিঙ্গাদের) নেতা ছিলেন। সব রোহিঙ্গারা তাকে মেনে চলতো। গুলি চালানোর আগে তারা বলেছিল যে সে রোহিঙ্গাদের নেতা হতে পারে না এবং রোহিঙ্গাদের কোন নেতা থাকতে পারে না।” আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এর সহকর্মী মোহাম্মদ শরীফ বলেন, “আট থেকে দশ জনের একটি দল অফিসে ঢুকেছিল এবং তাদের মধ্যে তিনজন মহিবুল্লাহকে ঘিরে রেখেছিল। একজন তার দুই চোখের মাঝখানে, আরেকজন তার বুকে এবং অন্যজন তার বাহুতে বন্দুক ধরে গুলি করে। তারপর তারা আরও দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে এবং তাড়াতাড়ি পালিয়ে গেছে। ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছে যে কেউ কিছু বুঝতেও পারেনি।” উল্লেখ্য, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ প্রকাশ এবং বিচার দাবির কথাও তুলে ধরা হয়েছে আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদনে।