ইলিশের মতো সব মাছ রক্ষা করতে হবে

0

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। বাঙালির খুব প্রিয় সামুদ্রিক এই মাছটি ডিম পাড়ার জন্য বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের নদীতে প্রবেশ করে। অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মাছ ইলিশ বঙ্গোপসাগরের বদ্বীপ অঞ্চল, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা নদীর মোহনা থেকে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে ধরা হয়। সামুদ্রিক মাছ হলেও ইলিশ বড় নদীতে ডিম দেয়। ডিম ফুটে গেলে এবং বাচ্চা বড় হলে ইলিশ মাছ আবার সাগরে ফিরে যায়। সাগরে ফিরে যাওয়ার পথে জেলেরা এই মাছ ধরে। এবার সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, কয়েক দিন আগেও যে জেলেদের মধ্যে ছিল হতাশা, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার অলস সময় কাটিয়ে তারা এখন সাগরমুখী। ট্রলার ভর্তি ইলিশ ভিড়ছে ঘাটে। সন্তোষজনক দামে ইলিশ বিক্রি ও কিনতে পেরে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই খুশি।
চলতি বছর ইলিশের সরবরাহ গত বছরের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। তবে নদীর ইলিশ কম। সরকার প্রয়োজনীয় পদপে নেওয়ায় ইলিশের সুদিন ফিরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ক্রমাগত বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশে পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে। এবার তার চেয়ে আরো বেশি ইলিশ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। করোনার কারণে পানিতে দূষণ ও জলযান চলাচল কমেছে, আর এবার বৃষ্টি বেশি হওয়ায় সাগরে বেশি ইলিশ মিলছে। মা ইলিশ রা, জাটকা সংরণ ও অভয়াশ্রম নিশ্চিত হচ্ছে; সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের মনিটরিংও বড় অবদান রাখছে। সরকারিভাবে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সমুদ্রে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ রাখা হয়।
ইলিশের পাশাপাশি আমাদের অন্য প্রজাতির মাচ সংরণেরও ব্যবস্থা নিতে হবে। মুক্ত জলাশয়ের বাহারি নামের নানা প্রজাতির প্রিয় মাছ হারিয়ে গেছে। নদীর অনেক মাছ বর্ষায় প্লাবনভূমিতে এসে ডিম পাড়ত, তাদের সেই প্রজননচক্র নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ইলিশের সঙ্গে বাংলাদেশের মৎস্যভাণ্ডার রা করতে হলে কিছু উন্মুক্ত জলাশয়কে সংরতি এলাকা ঘোষণা করতে হবে। নদীগুলোর নাব্যতা বাড়াতে হবে। দূষণ রোধ করতে হবে। নদী ও প্লাবনভূমির মধ্যে মাছের অবাধ চলাচলের ব্যবস্থা তৈরি ও রা করতে হবে। সর্বোপরি আহরণ ও উৎপাদনের মধ্যে সামঞ্জস্য রা করতে হবে, যেমনটি করা হয়েছে ইলিশের েেত্র।