চিকিৎসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন

0

করোনা কেড়ে নিলো বাংলাদেশের আরো ৪৫ প্রাণ। এনিয়ে করোনার ছোবলে প্রাণ হারালো ১৩৮৮ জন। অপরদিকে গতকাল করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে ৩২৪৩ জন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ৫৩৫ জন। আর এ পর্যন্ত দেশে সুস্থ হয়েছে ৪২ হাজার ৯৪৫ জন। দেশে মৃত্যুর হার এখনো মারাত্মক না হলেও সনাক্তের সংখ্যা যে বাড়ছে তা প্রতিদিনের তালিকা দেখলেই নিশ্চিত বলা যায়। দেশে এ পর্যন্ত সর্বাধিক মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসেবে অর্ধশত ছাড়িয়েছে একদিন। যদিও এই সংখ্যা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তারা বলতে চান করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতদের পরীা হলে সংখ্যাটা অনেক লম্বা হতো। কারণ উপসর্গ নিয়ে মৃতদের তালিকাটা অনেক দীর্ঘ। যা হোক আমরা সরকারি তালিকায় সঠিক মানতে চাই। সেই সাথে দাবি রাখতে চাই যারা উপসর্গে আক্রান্ত তাদের যথাযথ পরীা-নিরীা করা হোক। কারণ এটা নিশ্চিত হওয়া দরকার সত্যিকার অর্থে দেশে কত মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে। পৃথিবীর সব দেশ সংখ্যাটি সংরণ করছে। করা উচিৎ ইতিহাসের প্রয়োজনেই। শত বছর পরের প্রজন্মের জানার জন্যেও এটা জরুরি।
যা হোক ইতিহাস নিয়ে চর্চা করার কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই। আমাদের আলোচনা বিষয় করোনা পরিস্থিতি যেভাবে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা সেভাবে বাড়ছে কি-না। চীনে করোনা শুরু হবার একমাস পর ইউরোপ আমেরিকায় ভয়াবহ অবস্থা শুরু হয়। এরও প্রায় দুই মাস পর বাংলাদেশে করোনার সূচনা হয়। তখন মার্চ মাস। মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটির সাথে ঘোষণা করা হয় সরকারি ছুটি। কয়েক দফায় এটা বৃদ্ধি করে নেয়া হয় মে পর্যন্ত। বলা হয় করোনা চিকিৎসার ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোন সমস্যা হবে না। করোনার জন্য আলাদা হাসপাতাল করা হবে। বসুন্ধরা ও আকিজ গ্রুপের বিশাল হাসপাতালের অনুমতি দেয়া হয়। বলা হয় জেলা উপজেলায় চিকিৎসার পৃথক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরার ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিন্তু তিন মাস পর পত্রিকার খবর হচ্ছে সুরার অভাবে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছে সর্বাধিক। তার চেয়ে বড় খবর হচ্ছে চিকিৎসা মিলছে না কোথাও। করোনা ভয়ে গাছ থেকে পড়া রোগীও ধরছে না ডাক্তার। হাসপাতালের পর হাসপাতাল ঘুরে গাড়িতেই মারা যাচ্ছে মানুষ। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসা রোগীরা সাাতকারে যা বলছে তাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার আসল চিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা মনে করি এসব খবর সরকারের কারো অজানা নেই, আছে পরিস্থিতি উন্নয়নের গরজের অভাব। আমরা সরকারকে বলতে চাই, অনেক সময় পেরিয়ে গেছে বেরিয়ে গেছে অনেক খবর। মানুষ আর ভাষণে আস্থা রাখতে পারছে না। মানুষ চাই চিকিৎসা, মানুষ চাই বাঁচতে। এ কারণে সরকারের উচিৎ হবে এখনই চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়ন তথা চিকিৎসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। কারণ মানুষের কাছে সরকারই শেষ ভরসা। আর দায়িত্বটাও সরকারের।