অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ায় আইপিএল স্থগিত হতোই। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। শেষ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিত-ই করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। যা বহাল থাকবে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত। অবশ্য নতুন কোনো সূচির কথাও বলেনি বিসিসিআই। পূর্বনির্ধারিত সূচিতে ২৯ মার্চ শুরু হয়ে ২৪ মে পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল এবারের আইপিএল। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ বাড়ায় প্রথম দফা সেটি স্থগিত রাখা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। নতুন করে ভারত সরকার আবার লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ালে অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে যায় আইপিএল। লকডাউনের ঘোষণার পর বিসিসিআই সূত্র বলছিল, লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত থাকায় আইপিএল এই সময় পর্যন্তই স্থগিত থাকবে। কিন্তু বুধবার সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আইপিএলের প্রধান অপারেটিং অফিসার হেমাং আমিন জানিয়ে দেন, সরকার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোতে, গ্রীষ্মকালের নিয়মিত উইন্ডোতে আইপিএল আয়োজন সম্ভব নয়।
সরকারের লকডাউনের ঘোষণার পর মঙ্গলবার এক সভাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে এই ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী, সাধারণ সম্পাদক জয় শাহ, আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল ও বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমাল ও আমিন। এই অবস্থায় আইপিএল যদি মাঠে না গড়ায়, তাহলে বড় ধরনের আর্থিক ধাক্কা খাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ ডিসেম্বরের নিলামে ৮ ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে নতুন করে কেনা হয় ৬২জন ক্রিকেটারকে। এতে ব্যয় হয়েছে ১৪০.৩০ কোটি রুপি। বিদেশি ক্রিকেটারদের মাঝে বেশি টাকায় বিক্রি হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে ভেড়ায় ১৫.৫ কোটি রুপিতে। করোনা পরিস্থিতিতে যতদিন পর্যন্ত টুর্নামেন্ট মাঠে না গড়াবে, ততদিন কোনো খেলোয়াড়ই টাকা পাচ্ছেন না। সাধারণত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি দুই ধাপে টাকা পরিশোধ করে থাকেন। টুর্নামেন্ট শুরুর এক সপ্তাহ আগে ও বাকি টাকা মৌসুমের শেষে। এই অবস্থায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিও এর নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। কারণ তারা নির্ভর করে থাকেন লভ্যাংশের ওপরই!