চালের বাজার অস্থির, নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

0

করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। চাল, ডাল, তেল ও পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। ভোক্তাদের মধ্যেও এক ধরনের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বেশি করে পণ্য কিনে ঘরে মজুদ করছেন। পাড়ার মুদি দোকান থেকে শুরু করে পাইকারি বাজার, সর্বত্রই পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। এমনিতেই নতুন বছরের শুরুতে বাজারে ভোজ্য তেল, চিনি ও ডালের দাম বেড়ে যায়। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা ও ভারত থেকে আদমানি শুরু হওয়ার পর বাজারে পণ্যটির দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে দাম আবার চড়তে শুরু করেছে। রসুন, আদা ও মসলার দামও বেশি। এর মধ্যেই আবার কোনো কারণ ছাড়াই চালের দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের পাশাপাশি চালের বাজারও অস্থির করে তুলছেন। কয়েক দিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি চালের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, আবার কোথাও কোথাও কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় টাকা, কোথাও বা কেজিপ্রতি সাত থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার মাঠে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আলাদত। চালের দাম বাড়ানোয় জরিমানা করা হয়েছে অন্তত ছয়জন ব্যবসায়ীকে।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই ভোক্তার মনে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির একটি আশঙ্কা তৈরি হয়। সপ্তাহের মাঝামাঝিতে এর ব্যাপক প্রভাব দেখা যায় বাজারে। মানুষ দাম বেড়ে যাওয়ার আগেই রমজান সামনে রেখে পণ্য কিনে মজুদ করতে শুরু করে। এতে হঠাৎ বাজারে চাপ তৈরি হয়। এতে কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে চাল ও তেল অন্যতম। এ পরিস্থিতিতে বাজার ও পণ্য মজুদ বিষয়ে ভোক্তাকে আশ্বস্ত করার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকরা। সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে, সরকারের প থেকে বারবার এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে নিত্যপণ্য নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আমদানি বেশি হয়েছে, পণ্যের কোনো সংকট হবে না। তাই আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভোক্তাদের মনে ধরেনি। মজুদের পথে গেছেন ভোক্তারা। সুযোগটি নিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বাজারে সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে। টিসিবিকে খোলাবাজারে আরো বেশি সক্রিয় করতে হবে।