২০১৬ সালের পর তামার সর্বনিম্ন দাম

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ তামার বাজারে বড় ধরনের দরপতন বজায় রয়েছে। লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) বৃহস্পতিবার ব্যবহারিক ধাতুটির দাম কমে চার বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। এদিন প্রতি টন তামা ৪ হাজার ৭০০ ডলারের নিচে বিক্রি হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর জের ধরে চাহিদা ও বেচাকেনা কমার আশঙ্কা থেকে গত এক মাসে তামার দাম টনপ্রতি ১ হাজার ডলারের বেশি কমেছে। খবর মেটাল বুলেটিন।
এলএমই প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামা ৫ হাজার ৭৪৫ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এর পর থেকে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম ক্রমে কমে এসেছে। ফেব্রুয়ারির শেষ কার্যদিবসে তামার দাম টনপ্রতি ৫ হাজার ৫৭১ ডলারে নেমে আসে। ১৬ মার্চ তা আরো কমে দাঁড়ায় টনপ্রতি ৫ হাজার ২১০ ডলারে।
এদিকে গত বুধবার ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামা ৪ হাজার ৮৫৯ ডলার ৫০ সেন্টে বিক্রি হয়েছিল। পরদিন ব্যবহারিক ধাতুটির দাম আরো কমে টনপ্রতি ৪ হাজার ৬৮৪ ডলারে নেমে এসেছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারির পর এলএমইতে এটাই তামার সর্বনিম্ন দাম।
প্রাইস ইনডেক্স বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে তামার দাম কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। গত এক মাসে এলএমইতে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম টনে ১ হাজার ৬১ ডলার কমেছে।
এ বিষয়ে কমার্জব্যাংকের পণ্যবাজার গবেষণা বিভাগের প্রধান ইগুয়েন ওয়েইনবার্গ বলেন, ধাতুর বাজারে কিছুদিন ধরইে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রধান কারণ চীনা অর্থনীতির স্থবিরতা। তামাসহ বিভিন্ন ধাতুর প্রধান আমদানিকারক চীন। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বছরের শুরু থেকে দেশটির অর্থনীতি প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। নড়বড়ে অবস্থানে রয়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য। এখন প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস মহামারী আকারে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি চাহিদা ও বেচাকেনা কমার আশঙ্কা তৈরি করেছে ধাতুর বাজারে। ফলাফল হিসেবে ২০১৬ সালের জানুয়ারির পর এলএমইতে তামার দামে সর্বোচ্চ ধস দেখা গেছে।