যশোরে ঈদ বাজারে শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড়

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ যশোরে ঈদ বাজারে শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। তবে উপচেপড়া ক্রেতার অধিকাংশরই নজর কম মূল্যের পণ্যের দিকে। ক্রেতারা বলছেন, দুর্মূল্যের বাজারে দৈনন্দিন সাংসারিক খরচ মেটাতে তাদের অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যপার হয়ে দাাঁড়িয়েছে। যে কারণে তারা কিছু কাটছাঁট করে ঈদের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।
রোববার শহরের মুজিব সড়ক থেকে শুরু করে, কালেক্টরেট মার্কেট, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, এইচ এম এম রোড, বড় বাজারের হাটচান্নি ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
মুজিব সড়কের একাধিক বিপণিবিতানের বিক্রয়কর্মী ও কর্মকর্তারা জানান, বিগত বছরগুলো ১০ থেকে ১৫ রমজানের পর থেকে ঈদের কেনাকাটায় ধুম পড়ে যায়। ক্রেতাদের চাপ সামলাতে তাদের রীতিমত হিমশিম খেতে হয়। কিন্ত এবার চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০ রমজানের পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে অধিকাংশ ক্রেতার নজর কম দামের পণ্যের দিকে । আবার বাজেট সংকুলানের কারণে অনেক ক্রেতা পণ্যের দাম দেখে নি¤œ কিংবা মধ্যবিত্তের মার্কেটের দিকে ধাবিত হচ্ছেন।
শহরের মুজিব সড়কে মধ্যবিত্তের কালেক্টরেট মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ক্রেতাদের উপড়ে পড়া ভিড়। এই মার্কেটে পোশাক কিনতে আসা স্কুল শিক্ষক শহীদ কামাল বলেন, মুজিব সড়ক থেকে কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাজিদ কামাল দুর্জয়ের পাঞ্জাবি কেনার পর বাজেট কম থাকার কারণে নিজেরটা কিনতে পারলাম না। তাই বাধ্য হয়ে কালেক্টরেট মার্কেট থেকে নিজের পাঞ্জাবিটা কিনতে আসলাম। এই মার্কেটের আরিফ গার্মেন্টেসর বিক্রয়কর্মী বাপ্পি জামান বলেন, রোজার শেষ মুহূর্তে মার্কেটে ক্রেতার যথেষ্ট ভিড় আছে। তবে অধিকাংশ ক্রেতার নজর কমমূল্যের পণ্যের দিকে। তারা পণ্য দেখছেন, দাম শোনার পর কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। আবার অধিকাংশ ক্রেতা বাজেট স্বল্পতার কথা বলছেন। যে কারণে তারা কমমূল্যের দোকানের দিকে ঝুঁকছেন।
তবে কালেক্টরেট মার্কেটে যতটা না ক্রেতার ভিড় দেখা যায়, তার চেয়ে কয়েকগুণ ভিড় দেখা যায়, পাশের জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে। সুপার মার্কেট নাম হলেও মূলত এটি নি¤œবিত্তের মার্কেট হিসেবে পরিচিত। এখানে পোশাক কিনতে শহরের খড়কি এলাকার গৃহবধূ তুলি আক্তার বলেন, ছেলে আয়ান ও মেয়ে লামিয়ার ঈদের পোশাক কিনেছি পাশের কালেক্টরেট মার্কেট থেকে। নিজের জন্য কমমূল্যে একটা থ্রি পিস কিনতে আসলাম জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে। জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের মত জেলা পরিষদ ভবনের সামনে সড়কে ফুটপাতের দোকান গুলোতেও ক্রেতাদে ভিড় ছিল অনেকটা লক্ষ্যণীয় ।
এদিকে শহরের বড় বাজার হাটচান্নির দোকানগুলো থেকে অধিকাংশ মানুষ কেনাকাটা সেরেছেন। বিশ্বাস টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী আব্বাস বিশ্বাস বলেন, এ বছর ঈদ বাজারের শুরুতে ক্রেতার উপস্থিতি মোটেও সন্তোষজনক ছিল না। তবে এই মুহূর্তের ক্রেতার উপচেপড়া ভিড় থাকলেও তারা ঝুঁকছেন স্বল্পমূল্যের পণ্যের দিকে। এমনকি এইচ এম এম রোডের অভিজাত দোকান বাদ দিয়ে হাটচান্নি থেকে ঈদের কেনাকাটা করছেন।