সবজিতে অস্বস্তি, আমদানিতে নামছে চাল ও মরিচের দাম

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ॥ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের অজুহাতে বিক্রেতারা বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন। ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন নতুন সবজি। এদিকে স্থলবন্দরগুলোতে দুর্গাপূজার পাঁচ দিন বন্ধের পর আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হওয়ায় দাম কমেছে মোটা চাল ও কাঁচা মরিচের। তাছাড়া বাজারে ডিম ও গরুর মাংস বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রোববার যশোর শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

চাষিরা সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠে আবারও সবজি উৎপাদনে ফিরেছে। গত কয়েকদিনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে দামও ওঠানামা করছে। কিন্তু এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করছে। ইতোমধ্যে বাজারে শীতকালীন নতুন সবজি চলে এসেছে।

রোববার বড় বাজারে ভালো মানের বেগুন প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কলা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তাছাড়া শীতকালীন নতুন সবজি শিম প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, ফুলকপি ১৫০ টাকা ও বাঁধাকপি ১০০ টাকা ও মুলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বড় বাজার এইচএমএম রোডের পাইকারি কাঁচামাল ব্যবসায়ী ‘আরিফ ভাণ্ডার’-এর অন্যতম স্বত্বাধিকারী মো. শাহাবুদ্দিন মাতুব্বর জানান, এখন থেমে থেমে যে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে সবজির ক্ষেতে তেমন একটা ক্ষতি হচ্ছে না। তবে নানা কারণে বাজারে সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি হচ্ছে।

এদিকে দুর্গাপূজার বন্ধের পর স্থলবন্দরগুলো সচল হওয়ায় আবারও আমদানি- রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ভারত থেকে চাল ও কাঁচা মরিচ আমদানি হয়ে আসায় বাজারে দামও বেশ খানিকটা কমেছে।

রোববার বড় বাজার চাল বাজারে মোটা হীরা চালের কেজিতে ৫ টাকা কমে ৪৫-৪৬ টাকা, স্বর্ণা চালে ৪ টাকা কমে ৪৮-৫২ টাকা ও কাজললতা চালে ৪ টাকা কমে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তাছাড়া বাংলামতি চাল ৮০-৮২ টাকা, মিনিকেট চাল ৬০-৬৪ টাকা, বিআর-৬৩ চাল ৬২-৬৪ টাকা, বিআর-৪৯ চাল ৫৬ টাকা ও বিআর-২৮ চাল ৫৪-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

যশোর বড় বাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ্বাস জানান, এভাবে চাল আমদানি হলে আপাতত চালের দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

ওদিকে, বড় বাজারের খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা আখির কাজী জানান, গত পাঁচ দিন দুর্গাপূজার বন্ধের কারণে মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। এ কারণে প্রতি কেজি মরিচ ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি হয়ে আসায় রোববার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

অপরদিকে,বাজারে খামারের মুরগির ডিম বেশ কিছুদিন ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। রোববার খামারের লাল মুরগির ডিম প্রতি হালি ৪৪ টাকা ও সাদা ডিম ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বড় বাজার কাঠেরপুলেও দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। রোববারও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।