মুক্ত সাংবাদিকতার প্রকাশক তরিকুল ইসলাম

0

সুজায়েত শামীম সুমন

একটি গণতান্ত্রিক সমাজের অন্যতম ভিত্তি হলো মুক্ত সাংবাদিকতা। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়ার মধ্য দিয়ে গণমাধ্যম সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এই পেশায় একজন সাংবাদিকের সততা এবং নৈতিকতা যেমন জরুরি, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রকাশকের ভূমিকা। প্রকাশকের চিন্তা চেতনা, নিরপেক্ষতা এবং ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকদর্শনের ওপর মূলত নির্ভর করে পত্রিকার নিয়ম-নীতি। সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যতই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করুক না কেনো; একজন প্রকাশকের সাহস, দক্ষতা এবং সত্যের পথে অবিচল থাকার মানসিকতা প্রকৃত অর্থে নির্ধারণ করে দেয় সংবাদের গতিপথ।
বলছিলাম দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বহুল প্রচারিত দৈনিক লোকজমাজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক বর্ষীয়ান রাজনীতিক প্রয়াত তরিকুল ইসলামের কথা। একজন রাজনীতিক এবং বিএনপি সরকারের বিভিন্ন সময়ে একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী থাকার পরও দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকাকে তিনি কখনো দলীয় মুখপত্র হিসাবে ব্যবহার হতে দেননি। বরং সত্য, ন্যায় আর নির্যাতিতের পক্ষে এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার থাকার নীতিগত আদর্শে অটুট থেকেছেন।পাঠকের প্রতিশ্রুতি পূরণে নির্ভীক এবং নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার আলোকবর্তিকা হিসেবে লোকসমাজকে পৌঁছে দিয়েছেন পাঠকের হাতে হাতে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে থেকেছেন আপোষহীন। দলমতের উর্ধ্বে থেকে সত্য সংবাদ প্রকাশের আদর্শিক চিন্তা ধারায় অবিচল থেকেছেন আমৃত্যু। সেটির ধারবাহিকতায় মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা এখনও অব্যাহত রেখেছে লোকসমাজ।
বাস্তবতা হলো প্রকাশকদের অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। কখনো সরকারের বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের চাপ, কখনো আর্থিক চ্যালেঞ্জ, আবার কখনো সামাজিক প্রভাব বিবেচনায় রাখতে হয়। তবে একজন আদর্শবান এবং সাহসী প্রকাশক সত্য তুলে ধরার মধ্য দিয়ে পাঠক সমাজে সমাদৃত হন, জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এবং পাঠকের আস্থা ও বিশ^াসের জায়গা মজবুত হয়।
প্রয়াত রাজনীতিক তরিকুল ইসলাম তাঁর ‘রাজনীতি’ এবং ‘সংবাদ প্রকাশনা’ এ দুটি বিষয়কে পৃথক স্বত্তা হিসেবে বিবেচনা করতেন। মুক্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এতটাই গণতান্ত্রিক এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেন যে, তাঁর প্রতিষ্ঠানের কোন সংবাদকর্মীকে কখনও সত্য এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে প্রাতিষ্ঠানিক বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়নি। বরেণ্য রাজনীতিক তরিকুল ইসলামের প্রকাশনাকালে তথ্য নির্ভর অনুসন্ধানী কোন সংবাদ সম্পাদকের ড্রয়ারে চাপা থেকে গেছে; এমনটি ঘটতে দেখা যায়নি। তিনি মন্ত্রী থাকার পরও নিজ পত্রিকায় সরকারের গুণগান নয়; বরং সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে জেনেও সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশে কোনরূপ সংকোচ বোধ করতেন না। বাঁধা দিতেন না। তাইতো বিএনপির শাসনামলে মন্ত্রীর মালিকানাধীন পত্রিকা লোকজমাজ হয়ে ওঠে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বহুল প্রচলিত শীর্ষ দৈনিক।
২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে লোকসমাজ পত্রিকায় শুরু হয় আমার সাংবাদিকতা। তখন প্রকাশক তরিকুল ইসলাম ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। তাঁর পত্রিকায় যোগদানের মাস ছয়েক পর ক্রাইম রিপোর্টার হিসাবে আমাকে দায়িত্ব দেন তৎকালীন সময়ের চিফ রিপোর্টার শ্রদ্ধাভাজন রাজেক জাহাঙ্গীর। প্রথম দিন থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারের রুমে চোখে পড়ে বিশেষ এক দুর্নীতির চিত্র। পরের দিন লোকসমাজে ছাপা হয় ‘জিডির মূল্য ২০০।’ঘটনাটি ছিল এমন যে থানায় জিডি করতে আসা একজন ভুক্তভোগীকে ২০০ টাকার বিনিময়ে জিডি করে দেন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। ওই সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পদক ছিলেন বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকন। বার্তা সম্পাদক হিসাবে কাজ করতেন মিজান মাহমুদ। ইচ্ছে করলেই তাঁরা ছোট্ট সংবাদটি এড়িয়ে যেতে পারতেন। কেননা খবরটি বিব্রতকর। মন্ত্রী মহদয়ের নিজ জেলা শহরের পুলিশের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন করার জন্য তা যথেষ্ট।
বাস্তবতা হলো এই যে ‘জিডির মূল্য ২০০’ সংবাদ প্রকাশের পর থেকে বদলে যায় থানার পরিবেশ। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ না করলেই নয় যে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের দীর্ঘ সময়ে সংবাদকর্মীরা থানা থেকে প্রতিদিনের সংবাদ সংগ্রহ করতে পারতেন না। আটক বা মামলার খবর ক্রাইম রিপোর্টারদের নিতে হতো আদলত সূত্রে। এবং দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছরে স্বাধীন এবং সাহসী সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি, সাংবাদিক নির্যাতন, ষড়যন্ত্রসহ রুটিরুজির ওপর সরকারের নানামুখী চাপ ও খবরদারির মধ্য দিয়ে। এমনও অভিযোগ আছে যে ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি পর্যবেক্ষণে থাকতো টিভি চ্যানেলসহ বেশকিছু দৈনিক পত্রিকা। এ ধরণের পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে সরকারের সমালোচনা এবং বিরুদ্ধে যায় এমন কোন সংবাদ প্রচার করা থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা চালানো হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। পক্ষান্তরে বিএনপির শাসনামলে স্বাধীন মত প্রকাশে গণমাধ্যম প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে; উল্লেখ করার মত এমন কোন নজির নেই।
যে কোন পত্রিকা টিকে থাকার প্রয়োজনে সহায়ক হিসাবে বিশেষ ভূমিকা রাখে সরকারি বিজ্ঞাপন। দৈনিক লোকসমাজ বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে এক ইঞ্চি সরকারি বিজ্ঞাপন কি পেয়েছে?
দীর্ঘ তিন দফা শাসনামলে সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়ে পত্রিকাটির অপমৃত্যু ঘটানোর চক্রান্ত চালিয়ে ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো বিষয়টি নিয়ে কোন পত্রিকার মালিকপক্ষ টু শব্দ করেননি। অথচ তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে সরকারি বিজ্ঞাপনের সুষম বণ্টনের ক্ষেত্রে যশোরের প্রতিটি দৈনিক পত্রিকাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতেন লোকসমাজের প্রকাশক তরিকুল ইসলাম। সে সময় সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রে বরাবরই যশোররে দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রাধান্য পেতো। বিশেষ করে বিভিন্ন দিবসে প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন বহুবার পাতা জুড়ে প্রকাশিত হতে দেখা গেছে যশোরের একাধিক দৈনিক পত্রিকায়। প্রয়াত রাজনীতিক তরিকুল ইসলাম অনুভব করতেন পত্রিকা টিকে থাকার প্রয়োজনে সরকারি বিজ্ঞাপন অপরিহার্য্য একটি উপাদান। এবং সেটি তিনি সবার ক্ষেত্রে কার্যকর করার পদক্ষেপ নিতেন।
সত্য প্রকাশে প্রয়াত তরিকুল ইসলাম যে অবিচল থাকতেন; সেটির অসংখ্য দৃষ্টান্ত তুলে ধরা যায়। বিশেষ করে তিনি মন্ত্রী থাকাকালে লোকসমাজে গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অপরাধমূলক প্রতিটি সংবাদ যতটা গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হতো; তা এক কথায় অবিশ^াস্য। বিশেষ করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থেকে নিজ পত্রিকায় সরকারের সমালোচনা হতে পারে এমন সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকাই বরং স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বিষয়টিক কখনও তিনি সেভাবে বিবেচনা করতেন না। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীন মত প্রকাশের ব্যাপারটি তিনি গুরুত্ব দিতেন। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে ‘পুলিশের চোরাচালান টোকেন’ বিক্রির সংবাদ। জেলার প্রতিটি থানার পুলিশের ক্যাশিয়াররা বিক্রি করতেন এই টোকেন। ঘোড়া, বাঘ, সিংহ, হাতিসহ বিভিন্ন প্রতীক সম্বলিত এসব টোকেন ছিল বিভিন্ন মূল্যের। মাসচুক্তি ভিত্তিতে বিক্রি হওয়া এইসব টোকেনের বিনিময়ে চোরাকারবারীরা র্নিবিঘ্নে বেনাপোল সীমান্ত হয়ে যশোর শহরে নিয়ে আসতে পারতো চোরাচালান পণ্য। টোকেন দেখালে সেই পণ্য জব্দ করা হতো না। অনুসন্ধান শেষে টোকেনের ছবিসহ চোরাকারবারী ও পুলিশের ক্যাশিয়াদের নাম তুলে ধরে করা আমার সেই প্রতিবেদন লিড নিউজ আকারে প্রকাশ করে লোকসমাজ। এবং সেই সংবাদে রীতিমত হুলস্থুল পড়ে যায় জেলা পুলিশের প্রতিটি পর্যায়ে। মন্ত্রীর মালিকানাধীন পত্রিকায় এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যান জেলার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টরা। এবং সেই সংবাদের প্রেক্ষিতে টোকেন ব্যবসা অনেকটাই বন্ধ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা প্রয়োজন সীমান্তবর্তী জেলা হিসাবে যশোরে চোরাচালান অতি সাধারণ ঘটনা। তারপরও এটি দমনের নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হতো।
প্রাসিঙ্গক ভাবেই বলতে হয় বিগত সরকারের শাসনামলে চোরাচালান বন্ধ করার দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ কারোর চোখে পড়েনি। বরং ক্ষমাসীন রাজনৈতিক দলের কতিপয় প্রভাবশালী নেতা এবং পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি শক্তিশালী চোরাচালান সিন্ডিকেট। তারাই নিয়ন্ত্রণ করে গেছে চোরাচালান। বেনাপোল হয়ে ঢাকা পর্যন্ত র্নিবিঘ্নে পৌঁছে যেতো তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নেয়া প্রতিটি পণ্য। এবং ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর প্রভাবশালী সংশ্লিষ্ট নেতারা আত্নগোপনে চলে গেলেও এখনও সক্রিয় রয়েছে সেই সিন্ডিকেট। বেনাপোল সীমান্ত এলাকার ঘাট মালিকরা টাকার বিনিময়ে অব্যাহত রেখেছে তাদের অবৈধ কার্যক্রম।
লোকসমাজের প্রকাশক প্রয়াত তরিকুল ইসলাম কখনও অপরাধমূলক সংবাদ, অনিয়ম এবং দুর্নীতির খবর প্রকাশে সাংবাদিকদের নিরুৎসাহিত করতেন না। তৎকালীন সময়ে বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিস, হাসপাতাল, থানা, এলজিআরডি, কাস্টমস, বিডিআরসহ কোন সেক্টরে অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে সোচ্চার থাকতো লোকসমাজ। যশোর কোতয়ালি থানায় বিভিন্ন সময়ে কর্তব্যরত টিএসআইসহ পুলিশের বিশেষ টিমের দায়িত্বরত পুলিশ অফিসাররা সবচেয়ে বেশি আতংকে থাকতেন লোকসমাজ পত্রিকার সংবাদ নিয়ে। বিশেষ করে যশোর শহরে মাদকের বিস্তার এবং সন্ত্রাসীদের আধিপত্যের কোন সংবাদ প্রকাশিত হলে তা জেলার আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় তুলে ধরতেন লোকসমাজের প্রকাশক এবং মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম। এ ধরণের কোন অপকর্মে তাঁর রাজনৈতিক দলের কারোর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মিললে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতেন। শহরকে অপরাধমুক্ত করতে উপস্থিত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কেবল নির্দেশনা দিতেন না; একই সাথে আলটিমেটাম দিয়ে দিতন। প্রসঙ্গক্রমে তুলে ধরা প্রয়োজন যে তৎকালীন সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুই শীর্ষ নেতার দুই গ্রুপের পারস্পরিক বিবাদ, হামলা এবং সংঘর্ষের কারণে প্রায় সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠতো যশোর। এ নিয়ে লোকসমাজসহ স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বহুবার।
তৎকালীন সময়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থিদের আধিপত্য, মাদক, চোরাচালান, অনিয়ম, দুর্নীতিসহ অপরাধমূলক খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য লোকসমাজের সাংবাদিকদের কখনও বলতেন না প্রকাশক। যদিও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে এসব সংবাদ নিজের মালিকানাধীন কাগজে প্রকাশিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সরকারের সমালোচনার সুযোগ তৈরি হলেও সেটি নিয়ে তিনি ভাবতেন না। ওই সময়ে দায়িত্বরতভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন ভাই, আইয়ুব ভাই, তৎকালীন সময়ে মফস্বল সম্পদক এবং বর্তমানে ভারপ্রাাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু ভাইসহ কাউকে কখনও বলতে শুনিনি সরকার সমালোচিত হয় এমন কোন সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আমাদের সংযত হওয়া উচিৎ। আসলে এমনটি বলতেন না কারণ প্রকাশক নিজেই চাইতেন সত্যের পথে অবিচল থেকে মুক্ত সাংবাদিকতার পথকে মসৃণ করে তুলুক লোকসমাজ।
একজন অভিভাবক হিসেবে গণমানুষের নেতা প্রয়াত তরিকুল ইসলাম সবসময় চাইতেন নিরাপদে এবং স্বস্তিতে থাকুক যশোরের মানুষ।