সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে যশোরের রাজপথ উত্তাল

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এক দফার কর্মসূচিতে উত্তাল যশোরের রাজপথ। রোববার এক দফার আন্দোলনের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থী রাজপথে নেমে আসেন। সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে তারা যশোরের রাজপথ প্রকম্পিত করেন। এদিন তাদের সাথে অভিভাবক, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণিপশার মানুষও যোগ দেন। মহান স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যশোর শহরে বড় জনসমাগম ঘটে এমনটি জানান শহরবাসী।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কোনো সংলাপ হবে না। এই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার সাথে কোনো সংলাপ হবে না। আমার ভাইয়ের রক্তের দাগ শুকায়নি। খুনি শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
রোববার বেলা ১১ টায় যশোর-বেনাপোল সড়কের চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল বের হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকে সেখানে মিছিল সহকারে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে তাদের মিছিলের পরিধিও বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে যশোর-খুলনা মহাসড়ক এবং যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কসহ গোটা এলাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এসময় তারা সরকার বিরোধী একটি অংশ জুড়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।
আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে। সারা বাংলায় খবর দে, স্বৈরাচারের কবর দে। হৈ হৈ রৈ রৈ, খুনি হাসিনা গেল কই। এই মাত্র খবর এলো , খুনি হাসিনা পালিয়ে গেল। গোপালগঞ্জের গোপালী, আর কতকাল জ্বালাবি। এক দুই তিন চার, শেখ হাসিনা গদি ছাড়। ও হাসিনা গদি ছাড়, গদি কি তোর বাপ দাদার। পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গী। কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ দাদার। তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজকার। কে বলেছে রাজাকার, স্বৈরাচার স্বৈরাচার। এই জাতীয় স্লোগানে মাতিয়ে রাখেন তারা।
এরপর সেখান থেকে বেলা ১২ টার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি রাজা বরদাকান্ত, রেলগেট, মুজিব সড়ক, সিভিল কোর্ট মোড়, এম এম আলী সড়ক, রেল রোড, চৌরাস্তা থানার মোড়, আর এন রোড হয়ে মনিহার এলাকায় গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এদিকে মিছিল চলাকালে সড়কের দুই ধারের বাসিন্দারা এবং ব্যবসায়ীরা মিছিলকারীদের খাবার পানিসহ বিভিন্ন ধরের শুকনা খাবার প্রদান করেন। সেই হাতে তারা হাত নেড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন জ্ঞাপন করেন।