চৌগাছার কংশারীপুর-নারায়ণপুর সড়কের বেহালদশা

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছার কংশারীপুর-নারায়ণপুর সড়কের পিচ, ইট, খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা বিরাজ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
চৌগাছা পৌর এলাকার দামোদার বটতলা হতে সড়কটি উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে মিলিত হয়েছে। বহু আগে সড়কটি পাকা করা হয়। সময়ের সাথে সড়কটির পিচ, ইট, বালি ও খোয়া উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙা সড়কে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বয়োবৃদ্ধ, রোগী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গায় সড়কের ওপর হতে উঠেছে পিচ। সেই স্থানগুলোয় সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। ভারী যানবাহন না চলাচল করলেও ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইজিবাইক, থ্রি হুইলার ও মোটরসাইকেল নিয়মিত চলাচল করে। এই সব বাহনের চালককে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
সড়কে চলাচলরত ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বহু আগেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, কিন্তু মেরামতের কোনই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এতে করে আমাদের সড়কে চলতে বেগ পেতে হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে বাহন। ভ্যান চালক আব্দুর রশিদ জানান, সড়ক ভাঙা থাকায় যাত্রী উঠতে চায়না। পেটভরা গ্রামের কৃষক আব্দুল গনি বলেন, সড়কটি যে সময় নির্মাণ করা হয়েছে তখন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, তাই ভেঙে গেছে। মাঠে সব ধরনের ফসল ফলানো হয়, সড়কটির বেহালদশায় বেশি খরচ করে বুন্দলীতলা হয়ে সবজি চৌগাছা বাজারে নিতে হচ্ছে। তিনি সড়কটি দ্রত সংস্কারের অনুরোধ করেন।
স্কুল কলেজগামী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সময়মত মিলছে না যানবাহন, যে কারনে প্রতিষ্ঠানে যেতে দেরি হচ্ছে। বাইসাইকেলে চলাচলও ঝুকিপূর্ণ বলে তারা মনে করছেন। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সড়কটির পাশ দিয়ে কংশারীপুর, টেংগুরপুর, হাজরাখানা, পেটভরা, নারায়ণপুরসহ একাধিক গ্রাম অবস্থিত। এ সব গ্রাম সবজি ও ফল চাষের জন্য বিখ্যাত। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা থাকায় চাষিদের অনেক কষ্টে উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি করেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রকৌশলী রিসায়াত ইমতিয়াজ বলেন, সড়কটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। নতুন অর্থ বছরে কাজ শুরু হলে দ্রুতই মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।