নওয়াপাড়ায় ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর)॥ যশোরের নওয়াপাড়ার ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালে ভুল অপারেশনে ইতি বেগম (২২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই নারীর মৃত্যুর পর স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ফাতেমা প্রা. হাসপাতালটি ঘেরাও করে আন্দোলন করে। পরে অভয়নগর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে নিহত নারীর পক্ষে রফিকুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এই হাসপাতালে অনিয়মের কোন শেষ নেই। প্রায়ই ওই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মানুষ মৃত্যুবরণ করে। আমরা এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছিনা, আমরা চাই ভুল চিকিৎসার অবসান হোক। এই নারীর মৃত্যুর সঠিক বিচার চাই। নিহত নারীর একটি ৭ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে।
অভিযোগ, ২৯ জুন শনিবার ওই নারী গর্ভবতী অবস্থায় ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার রাতেই স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডাক্তার মঞ্জুরুল মোরশেদ ওই নারীকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। তার একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। পরে রাত ৩ টার পর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে অবস্থা খারাপ দেখে ৩০ জুন রোববার ওই নারীকে খুলনায় রেফার করেন ডাক্তার মঞ্জুরুল মোরশেদ। স্বজনরা খুলনা নেওয়ার পথে ওই নারীর মৃত্যু হয়। মৃত ইতি বেগম দর্শনা উপজেলার জনৈক রাজের স্ত্রী ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ধোপাদী এলাকার আরশাব শেখের মেয়ে।
পরে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ওই হাসপাতাল ঘেরাও করে আন্দোলন করতে থাকে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাসে উত্তেজিত জনগণ আন্দোলন বন্ধ করে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, নওয়াপাড়ার ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালে এর আগেও ভুল সিজারিয়ান অপারেশনে একাধিক রোগীর মৃত্যু হলেও অজানা কোন কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
নিহত নারীর মৃত্যুর বিষয়ে ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালের ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম জানান, ডাক্তার সময় মতো সঠিক চিকিৎসা করার পরেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আমরা তাকে খুলনা পাঠিয়েছি। ওই রোগীর আইসিইউ খুব দরকার ছিলো। আমাদের চিকিৎসায় কোন ভুল নেই। এ বিষয়ে ডাক্তার মঞ্জুরুল মোরশেদ জানান, কোন ভুল চিকিৎসা নয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আমরা দ্রুত তাকে খুলনায় পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে ওই নারীর মৃত্যু হবে ভাবতেও পারছিনা। এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওহিদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত হবে।