মহেশপুরে তিনটির মধ্যে দুটি রাসেলস ভাইপার পিটিয়ে মেরেছে জনতা

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ভারত সীমান্তঘেঁষা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় দুই দিনে তিনটি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটি সাপ বনবিভাগ উদ্ধার করতে পারলেও দুইটি গ্রামবাসী মেরে ফেলেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দীর্ঘদিন জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদ নাজমুল হোসেন। এদিকে সীমান্তের গ্রামগুলোতে এই বিষাক্ত সাপের দেখা মেলায় কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মহেশপুরের নেপা গ্রামের আহসান হাবিব জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারত থেকে আসা ইছামতি নদীতে মাছ ধরার জন্যে দুয়াড়ি পাতেন পেপুলবাড়িয়া গ্রামের উজ্জল হোসেন। কিছুক্ষণ পরেই দেখেন দুয়াড়ির মধ্যে একটি সাপ। সাপটিকে তিনি জ্যন্ত ধরে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে মহেশপুর বনবিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম নিয়ে যান অবমুক্ত করার জন্যে। একই দিন মহেশপুরের মাইলবাড়িয়া গ্রামে শিশুরা একটি সাপ দেখেতে পেয়ে চেঁচামেচি করতে থাকে। গ্রামবাসী সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে সাপটি রাসেলস ভাইপার বলে শনাক্ত হয়। শুক্রবার (২৮ জুন) মহেশপুরের কাঞ্চনপুর-হুদাপাড়া গ্রামের কৃষকরা ফুলের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে একটি রাসেলস ভাইপার দেখতে পান। সাপটিকে কৃষকরা পিটিয়ে মেরে ফেলে।
পরিবেশবিদ নাজমুল হোসেন জানান, ২০ বছর আগে স্থানীয়ভাবে চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত রাসেলস ভাইপার সাপটির দেখা মিলতো। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাসেলস ভাইপার সাপটি আবারো এলাকাবাসীর নজরে পড়তে থাকে। তিনি আরও জানান, এখন প্রতিনিয়ত মহেশপুরের সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোতে রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যাচ্ছে। ভারতের ইছামতি নদী দিয়ে এই সাপ আগেও যেমন আসতো এখনো তেমন আসছে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর বনবিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে তা মোকাবিলা করার জন্যে আমরা জনগণকে সচেতন করছি। সাপগুলো না মেরে বন বিভাগকে খবর দেওয়ার জন্যে বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম। সব প্রজাতির সাপের বংশ বিস্তারের সময়। যে কারণে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ গর্ত থেকে বেরিয়ে বাইরে বিচরণ করছে। এতে জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন ও সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন এই বন কর্মকর্তা।