যশোরে উচ্চমূল্যের বাজারে ক্রেতা সংকট

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাজারে অস্থিরতা কাটছে না। এ সপ্তাহে আরও এক দফা বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। মুরগি ও ডিম এখনও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কমেনি গরু ও খাসির মাংসের দাম। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না ভালো মানের সবজি। নতুন ধানের চাল উঠলেও দাম এখনও কমেনি। মাছের বাজারও চড়া। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে আসায় শুক্রবার বন্ধের দিনও বাজারে ক্রেতাদের অভাব দেখা গেছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, সরকারি সংস্থাগুলো যথাযথ ভাবে বাজার তদারকি করছে না। শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো দ্রব্যই সহজলভ্য নয়। উচ্চমূল্যের কারণে ভোক্তারা হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতিটি নিত্যপণ্যই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আগের মতো সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও ক্রেতারা বাজারমুখো হচ্ছেন না। শুক্রবার বাজারে আসা ক্রেতা জনৈক মুনশি আজগর আলী বলেন, অত্যাধিক দামের কারণে কোনো জিনিসই প্রয়োজনমাফিক কেনা যাচ্ছে না। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণহীনের জন্য সরকারি তদারকি সংস্থাগুলোকেই দায়ী করেছেন।
শুক্রবার বড় বাজারে দেখা যায় ভালো মানের কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছিল ১৮০ টাকা। তাছাড়া ভালো মানের সজনেডাটা ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির ডিমের পিস সাড়ে ১২ টাকায় উঠে আর নামেনি। খামারের মুরগিরও একই অবস্থা। সোনালি ও লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা করে। আর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। ডিম ও মুরগির অস্বাভাবিক দামের বিষয়ে ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ঠিকমত বাজার তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত যখন তখন দাম বাড়িয়ে চলেছেন।
গরুর মাংস ও খাসির মাংসও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বড় বাজার কাঠেরপুলে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য ছাগীর মাংস বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়।
এদিকে বোরো ধানের নতুন চাল বাজারে উঠেছে। কিন্তু দাম এখনও কমেনি। যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ^াস বলেন, বাজারে সরবরাহ এখনও পর্যাপ্ত হয়নি। এ কারণে চালের দাম কমেনি। তবে তিনি আশা করছেন জুন মাসে চালের দাম কমতে পারে।
শুক্রবার বড় বাজার চাল বাজারে বাংলামতি চাল বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৭২ থেকে ৭৪ টাকা, বিআর-৬৩ চাল ৬৪ টাকা, মিনিকেট ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা, কাজললতা ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা ও নূরজাহান চাল ৪৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
মাছের বাজারও চড়া। শুক্রবার বড় বাজার মাছবাজারে দেড় কেজি আকারের রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা, দেড় কেজি আকারের কাতল মাছ ২৮০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০ থেকে ১০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা ও তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়।