৮ মাসে শ্রীলংকায় চা উৎপাদন কমেছে ১৫%

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মন্দার মুখে পড়েছে শ্রীলংকার চা শিল্প। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) দেশটিতে পানীয় পণ্যটির সম্মিলিত উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ কমে ১৮ কোটি কেজির নিচে নেমে এসেছে। এর মধ্যে আগস্টে শ্রীলংকায় চা উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ কমে ৩৮ লাখ কেজির নিচে নেমেছে। কলম্বোভিত্তিক সিলন ট্রি ব্রোকার্সের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ইকোনমিনেক্সট ও বিজনেস রেকর্ডার।
শ্রীলংকা বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ চা উৎপাদনকারী দেশ। পানীয় পণ্যটির বৈশ্বিক রফতানিকারকদের তালিকায় দেশটি তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। চায়ের বৈশ্বিক রফতানি বাণিজ্যের ১১ দশমিক ৩ শতাংশ শ্রীলংকা এককভাবে জোগান দেয়। সিলন টি ব্রোকার্সের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে শ্রীলংকার বাগানগুলোয় সব মিলিয়ে ১৭ কোটি ৯০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন কমেছে ১৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের জানুয়ারি-আগস্ট সময়ে শ্রীলংকায় মোট ২১ কোটি ১০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে চা উৎপাদন কমেছে ৩ কোটি ২০ লাখ কেজি।
এদিকে গত আগস্টে শ্রীলংকার বাগানগুলোয় সব মিলিয়ে ২ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলন ট্রি ব্রোকার্স। এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন কমেছে ১৪ শতাংশ। ২০১৯ সালের একই সময়ে শ্রীলংকায় মোট ২ কোটি ৬২ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন কমেছে ৩৭ লাখ ৮০ হাজার কেজি।
চলতি বছরের আগস্টে শ্রীলংকায় উৎপাদিত ভালো মানের ৪১ লাখ কেজি চায়ের মধ্যে ৪০ লাখ কেজিই ব্ল্যাক টি। একই সময়ে দেশটিতে মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৭ কেজি গ্রিন টি উৎপাদন হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে শ্রীলংকায় ২ লাখ ১১ হাজার ২০৫ কেজি গ্রিন টি উৎপাদন হয়েছিল।
এদিকে গত জানুয়ারি-আগস্ট সময়ে শ্রীলংকা থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১৭ কোটি ৪১ লাখ কেজি চা রফতানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে দেশটি থেকে পানীয় পণ্যটি রফতানির পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি ৬২ লাখ কেজি। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে শ্রীলংকা থেকে চা রফতানি কমেছে ২ কোটি ২১ লাখ কেজি।
এর মধ্যে গত আগস্টে সব মিলিয়ে ২ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার কেজি চা রফতানি করেছে শ্রীলংকা। ২০১৯ সালের একই মাসে দেশটি থেকে ২ কোটি ৬২ লাখ কেজি কেজি চা রফতানি হয়েছিল।