স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরে মাদকের আলাদা দুই মামলার ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন ও শিমুল কুমার বিশ্বাস আলাদা এই রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার আমড়াখালি কাগমারি গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন জব্বার ও সাজু হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন এবং ঝালকাঠি সদরের গাবখান গ্রামের মৃত ইসমাইল আলী খাঁর ছেলে বর্তমানে খুলনার রূপসার বেলফুলয়া গ্রামের বাসিন্দা শওকত আলী খাঁ।
একটি মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট ভোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যশোর ক- সার্কেলের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল পোর্ট থানার আমড়াখালি কাগমারির ময়লাখানায় অবস্থান নেন। পরে ভোর সোয়া ৫টার দিকে তারা দুই ব্যক্তিকে মাথায় বস্তা নিয়ে আসতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে আটক করেন। এরা হলেন, জসিম উদ্দিন ও রাকিব হোসেন। এরপর তাদের কাছে থাকা বস্তার ভেতর থেকে ৪৯১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিদর্শক বদরুল হাসান বেনাপোল পোর্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এই মামলায় আসামি জসিম উদ্দিন ও রাকিব হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
অপর মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই শার্শা থানার পুলিশ নাভারন-সাতক্ষীরার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ শওকত আলীকে আটক করে। এ ঘটনায় শার্শা থানা পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আসামি শওকত আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদ অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
উল্লিখিত আসামিরা এর আগে আদালত থেকে জমিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।