শৈলকুপায় লোকসমাজ প্রতিনিধির ওপর হামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দৈনিক লোকসমাজ ও নায়াদিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি এম মফিজুল ইসলামের ওপর হামলা হয়েছে। শনিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালী গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি পারিবারিক কাজে লাঙ্গলবাধ বাজারে যাচ্ছিলেন। হামলায় তিনি গুরুরত আহত হন। তার মুখ ও নাকে রক্তাক্ত হয়। সংবাদিক মফিজের মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। হামলার নেতৃত্ব দেন পুরাতন মালিথিয়া গ্রামের আবুল কালাম বিশ^াসের ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন, একই গ্রামের পারভেজ, বন্দেখালী গ্রামের লাভলু ও হুদা কুশোবাড়িয়া গ্রামের কাঞ্চন। এরা সবাই শৈলকুপা আওয়ামী লীগের নেতা মতিয়ার রহমানের সমর্থক।
সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় তিনি জরুরি কাজে লাঙ্গলবাঁধ বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বন্দেখালী পৌঁছালে মোফাজ্জেলের নেতৃত্বে লাঠি মিছিলের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তারা তার গতিরোধ করে এবং লাঠিসোটা দিয়ে তার মাথায়, কান, নাক ও ডান চোখে আঘাত করেন। হামলার সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ছেলে দিনার তাকে রক্ষা করেন। পরে তিনি লাঙ্গলবাঁধ বাজারে পৌছে একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে লাঙ্গলবাঁধ পুলিশ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। মধ্যরাতে লাঙ্গলবাঁধ পুলিশ ক্যাম্পের এসআই তৌকির সাংবাদিক মফিজকে পুলিশ প্রহরায় বাড়ি পৌঁছে দেন।
হামলার কারণ সম্পর্কে মফিজ জানান, কী কারণে তারা আমার ওপর হামলা করেছে তা জানি না। তবে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়। সে কারণে তারা আমাকে দোষারোপ করেন।
এদিকে সাংবাদিক মফিজুলের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শৈলকুপা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহিন আক্তার পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মিল্টন। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
শৈলকুপা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহিন আক্তার পলাশ জানান, দ্রুত হামলাকারীরা গ্রেফতার না হলে রোববার সন্ধ্যায় জরুরি করে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।