চৌগাছায় ফ্যান এসি হাতপাখার দাম বেড়েছে

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ প্রচন্ড তাপদাহকে পুঁজি করে যশোরের চৌগাছা বাজারে সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে ফ্যানের দাম কয়েক গুন বেড়েছে। আর চার্জার ফ্যানের গায়ে তো হাত দেয়ার কায়দা নেই। দুর্যোগপূর্ণ সময়ে বাজার তদারকির অভাবে যে যেমন খুশি দাম হাকিয়ে পণ্য বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের।
সারা দেশের মতই গত কয়েক দিন ধরে চৌগাছার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। রোদের শিখায় যেন মানুষ পুড়ে যাচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। কিন্তু ঘরেও নেই স্বস্তি, মাঝে মধ্যে হচ্ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।এমতাবস্থায় যে সব বাড়ি ঘরে ছিল না ফ্যান তারা ফ্যান ক্রয়ের জন্য ছুটছেন দোকানে। আবার পরিবারের ছোট্ট শিশুটির কষ্ট নিবারণে একটি চার্জার ফ্যান ক্রয়ের জন্যে দোকানে এসে ক্রেতার চোখ কপালে উঠে যাচ্ছে। বৃত্তবানরা এই সময়ে চেষ্টা করছেন ঘরে একটি এয়ারকুলার (এসি) লাগাতে। কিন্তু সব কিছুরই দাম কয়েকগুন বেড়েছে।
বুধবার চৌগাছা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এ বিষয়টি জানা গেছে। আন্দারকোটা গ্রামের বাবুল আক্তার একটি চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন। কিন্তু ৪ হাজার টাকার নিচে তিনি ফ্যান কিনতে পারেননি। পাঁচনামনা গ্রামের রাজিব হোসেন একটি সিলিং ফ্যান কিনবেন ।কিন্তু গরমের আগে যে দাম ছিল বর্তমানে তার থেকে ১ হাজার টাকা বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে। তাই ফ্যান না কিনে বাড়িতে ফিরেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চাকরিজীবী বলেন, গরমে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। তাই ধারদেনা করে একটি এসি কিনতে এসে বিপাকে পড়েছি। আগের চেয়ে অনেক বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে। এই গরমে গরীব- অসহায় মানুষের এসি হচ্ছে তালপাতার হাতপাখা। সুনির্দিষ্ট কোন কারণ ছাড়াই প্রতিটি হাতপাখায় ২০ থেকে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী সুজন দেওয়ান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু এমন ব্যবসা কখনও করিনি। হঠাৎ করেই সব ইলেকট্রনিক্স মালামালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গরমে সব থেকে বেশি প্রয়োজন যে ফ্যান সেই ফ্যানের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনাও কমে গেছে।
মার্সেল কোম্পানির ডিলার জামির হোসেন বলেন, এবারের গরমে প্রকার ভেদে ফ্যানের দাম অনেক বেড়েছে। একটি চার্জার ফ্যান তিন মাস আগেও ছিল ২২শ টাকা। এখন তা ৪ হাজার টাকা। অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দামও বেড়েছে। বাজার তদারকি না থাকায় যেমন খুশি তেমন দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে এই ব্যবসায়ী মনে করছেন।