যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে আরও একটি মামলা

0

স্টাাফ রিপোর্টার ॥ ভুয়া নিয়োগপত্রে আরও ৬ জনকে কমিউনিটি ক্লিনিকে পিওন পদে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার আদালতে আরেকটি মামলা হয়েছে। সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তেজরোল গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে উজ্জল হোসেন মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি যশোরের বিশেষ পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন, সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে আহসান আহমেদ ও নাটুয়াপাড়া গ্রামের শফিয়ার রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
উজ্জল হোসেনও মামলায় একই ধরনের অভিযোগ করেছেন উল্লিখিতদের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ, তিনিসহ কচুয়া গ্রামের লিটন শেখের ছেলে লাবলু, চুড়ামনকাটি গ্রামের আবুল হুসাইনের ছেলে মেহেদী আল মামুন, দেয়াড়া গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে আসলাম মোল্লা, নওয়াপাড়া গ্রামের ইশারত আলীর ছেলে জুয়েল হুসাইন ও ইছালী গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আজহারুল ইসলামের কাছ থেকে ২ লাখ করে মোট ৬ লাখ টাকা নিয়েছেন ডা. মীর আবু মাউদ। ২০২৩ সালের মে মাসে তারা তাকে টাকা প্রদান করেন। এ সময় তাদেরকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা বেতনের কথা বলা হয়। কিন্তু চাকরিতে যোগদানের পর তারা কয়েক মাস ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। এরপর তাদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাদেরকে দেওয়া নিয়োগপত্র ছিলো ভুয়া। পরে তারা তাদের দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে ডা. মীর আবু মাউদ এবং তার দুই সহযোগী নানাভাবে টালবাহনা করতে থাকেন। যে কারণে উজ্জল হোসেন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এর আগে রোববার পিওন পদে ভুয়া নিয়োগপত্রে ২০ জনকে চাকরি দিয়ে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডা. মীর আবু মাউদ এবং তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের শানতলা এলাকার মো. নাজির আলীর ছেলে মো. আসিফ হোসাইন।