খুলনা ব্যুরো॥ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন,বিএনপি পরাজিত হয়নি। জনগণ হেরে যাননি। জনগন বিএনপির কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে। গেল নির্বাচনে ভোটবর্জন করেছে। বিএনপি জয়লাভ করেছে। তবে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে প্রশাসনিক কারণে জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলন বারবার হোঁচট খেয়েছে। আওয়ামী লীগ বলে আমরা হতাশ, এটা সত্যি না। ভোটবিহীন অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিএনপি আরও বেশি শক্তিশালী। নেতাকর্মীদের উৎসাহ দেয়ার জন্যে তারেক রহমান নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্যের আকাশচুম্বী মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রমজান মাসেও শান্তিপূর্ণ সাংগঠনিক কর্মসূচি থাকবে। আওয়ামী লীগ অশান্তি সৃষ্টি করলে জনগণকে সাথে নিয়েই বিএনপি তা প্রতিরোধ করবে। শুক্রবার খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছায় আহত নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবার-পরিজনের সাথে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
বিরোধী দলীয় সাবেক হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক আরও বলেন, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান দশ হাজার কিলোমিটার দূর থেকেও বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ও জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় গত ১৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। গত ২৮ অক্টোবরের পরে সারাদেশের জেলখানায় বিএনপির ১৩জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। জেল হত্যার এসব বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার হবে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত নেতাকর্মীদের স্বজনদের মাঝে খুলনা জেলা বিএনপির আর্থিক সহায়তা ও পরিবার-পরিজনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক। সকালে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার আমীরপুর ইউনিয়নের বড় কড়িয়া গ্রামে কারা নির্যাতিত যুবদল নেতা সোহেল ও আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নজরুল ইসলামের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। পরে বটিয়াঘাটার সাচিবুনিয়ায় নিহত যুবদল নেতা কারা নির্যাতনে নিহত কামাল হোসেন মিজানের বৃদ্ধ পিতা মো. মোকলেছ শেখ ও নিহতের স্ত্রী হাতে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। যুবনেতা মিজান গত ২ জানুয়ারি পুলিশের গায়েবি মামলায় বাগেরহাট জেলা কারাগারে নিহত হন। ২৩ ফেব্রুয়ারি তার মেয়ে রিতু আক্তারের বিয়ে অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের উপহারসামগ্রী পেয়ে খুশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন পরিবার-পরিজন ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
জুমার নামাজের পর পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নে লস্কর গ্রামে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সাথে নিয়ে যুবদল নেতা সাইদুর রহমান শহীদের পিতা ইউনুস আলী গাজীর কবর জিয়ারত করেন জয়নাল আবেদীন ফারুক। য্বুদল নেতা শহীদ কারাগারে থাকাবস্থায় স্ট্রোক করে ইন্তিকাল করেন তার পিতা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, বিএনপি ঘোষিত জনগণের একদফা দাবিতে আন্দোলন চলমান।
তারেক রহমানের পক্ষে উপহারসামগ্রী প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. গাজী আব্দুল মজিদ, বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল ইসলাম জনি, চালনা পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মোজাফফর হোসেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব খন্দকার ফারুক হোসেনসহ স্থানীয় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। নিহতদের কবর জিয়ারতকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ও সারাদেশে নিহত নেতাকর্মীর মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।