খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব বাপ্পীসহ ৩০ নেতা-কর্মী কারাগারে

0

 

খুলনা ব্যুরো॥ খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ ৩০জন নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উচ্চ আদালতের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বুধবার বেলা ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত খুলনার বিচারক মাহমুদা খাতুন জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি। খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
কারাগারে প্রেরিত অন্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খান জুলফিকার আলী জুলু, রূপসা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা সাইফুর রহমান, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক, ২নং শ্রীফলতলা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন ইজাদার, ঘাটভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল ইসলাম পাইক, আইচগাতী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জাকির হোসেন তালুকদার, লায়েকুজ্জামান লাকু, আইচগাতী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য কামাল উদ্দিন, রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসন, রূপসা উপজেলা জাসাসের যুগ্ম আহবায়ক খালিদ লস্কার, পূর্ব রুপসা উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক কাজী জাকারিয়া, পূর্ব রুপসা ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম রনি, আলমগীর শেখ, পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব কাউন্সিলর ইমরান হোসেন, পাইকগাছা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সোহেল গাজী, পাইকগাছা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সোহেল গাজী, ফারুক হোসেন, আমিনুল মল্লিক, শিহাব সরদার, বাদশাহ সরকার, আল আমিন শেখ প্রমুখ। ইতোপূর্বে রূপসা থানার মামলায় খুলনা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোল্লা খাইরুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে একই আদালত।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, পুলিশের দায়েরকৃত রূপসা থানার মামলায় খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ ২২জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে আদালত। এছাড়াও পাইকগাছা থানার মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামল হকসহ ১০জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল পুলিশের দায়েরকৃত রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক প্রহসনের মামলায় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির ১৬ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। তার আগে, গত ১৬ এপ্রিল ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির ৭৫ জন নেতা-কর্মীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে গতকাল এক বিবৃতিতে বিবোধী দল-মত দমন-নিপীড়নে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দলীয় স্বার্থে আদালতকে ব্যবহারের বিশ^রেকর্ড করেছে বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আইনের শাসন লঙ্ঘন করে তীব্র তাপদহনের মধ্যে ধারণক্ষমতার পাঁচগুণের অধিক ঠাসাঠাসির মধ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনরত বিএনপির লড়াকু সৈনিকদের কারাগারে নিক্ষেপ করছে আওয়ামী লীগ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেছেন, অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার সীমাহীন লুটপাটে বাংলাদেশ আজ দেউলিয়ার অবস্থা। জনগণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করে পাশ্ববর্তী দেশের প্রেসক্রিপশনে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে দেশের সার্বিক সার্বভৌমত্ব হারাতে বসেছে। জনগণের সামনে তথ্যভিত্তিক এসব চিত্র তুলে ধরায় বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের পুলিশের দায়েরকৃত গায়েবী মামলায় শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ আদালতে প্রহসনের রায়ে নির্বিকারে সাজা ঘোষণা করে বাংলাদেশে এক ঘৃণ্য বর্বরোচিত ইতিহাস রচনা করেছে আওয়ামী লীগ।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।