যশোরে সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম অগ্রাহ্য

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। সরকারের বেঁধে দেওয়া পণ্যের দাম এক মাসেরও বেশি সময় পার হলেও যশোরের বিক্রেতারা অগ্রাহ্য করে চলেছেন। এখনও মুরগি ও গরুর মাংস বিক্রেতাদের ইচ্ছেমত দামেই বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ভরা মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমার পরিবর্তে এ সপ্তাহে আরও বেড়েছে। তবে নতুন ধান ওঠায় চালের দাম আগামী সপ্তাহ থেকে কমে আসার সম্ভাবনার কথা বলছেন বিক্রেতারা। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
বড় বাজারে শুক্রবার খামারের মুরগি সোনালি প্রতি কেজিতে এ সপ্তাহে আরও ২০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৩০ টাকায়। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত ১৫ মার্চ প্রতি কেজি সোনালী মুরগির খুচরা বিক্রি দাম বেঁধে দিয়েছে ২৬২ টাকা। অর্থাৎ বাজারে খুচরা বিক্রেতারা সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়েও প্রতি কেজি সোনালি মুরগিতে বেশি নিচ্ছেন ৮৮ টাকা। ব্রয়লার মুরগিও বিক্রেতারা প্রতি কেজি ২২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম হচ্ছে ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা। এখানেও বিক্রেতারা প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে বেশি নিচ্ছেন ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা।
গরুর মাংসেও একই অবস্থা। গতকাল শুক্রবার বড় বাজার কাঠেরপুলে প্রকাশ্যে মূল্য তালিকা টানিয়ে বিক্রেতারা ৭৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর মাংসের খুচরা বিক্রি দামও গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বেঁধে দিয়েছে ৬৪৪ টাকা ৩৯ পয়সা। এখানেও বিক্রেতারা প্রতি কেজি গরুর মাংসে সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে ১০৫ টাকা ৬১ পয়সা বেশি নিচ্ছেন।
এদিকে ভরা মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমার পরিবর্তে আরও বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার বড় বাজারে বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। গত সপ্তাহেও বেগুন বিক্রি হয়েছেল ৩০ টাকা কেজি দরে। উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহেও বরবটি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহেও কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। বড় বাজারের কাঁচামাল আড়তদার জহিরুদ্দিন কাজল জানান, তীব্র তাপদাহে সবজির ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে বাজারে চাহিদার থেকে আমদানি কম হওয়ায় দাম বাড়ছে।
তবে চালের দাম কমার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ীরা। যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ^াস জানান, নতুন বোরো ধান ওঠা শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বাজারে নতুন ধানের চাল আমদানি হয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে চালের দাম কমে আসার কথা বললেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার বড় বাজার চালবাজারে মোটা চাল নূরজাজাহান মানভেদে প্রতি কেজি ৪৭/৪৮ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫২/৫৬ টাকা, কাজললতা ৫২/৫৬ টাকা, বিআর-৬৩ চাল ৬৪/৬৮ টাকা, মিনিকেট ৫৬/৬০ টাকা ও বাংলামতি চাল ৬৮/৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।