এমএ সবুর রানা, রামপাল (বাগেরহাট)॥ প্রতি বছরের মত এবারও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে রামপালের পাঁচ শতাধিক জেলে বহদ্দার নৌকা সাজিয়ে সমুদ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বুধবার রামপাল থেকে মাছ ধরার সরঞ্জাম ও লোকজন নিয়ে সকাল থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন। সুন্দরবন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মোংলার জয়মনিরগোল থেকে একসাথে সব জেলে সুন্দরবনের দুবলার চরসহ অন্যান্য চরে গিয়ে আগামী মে মাস পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
এ বিষয়ে সমুদ্রগামী মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. শহিদ মল্লিক জানান, এবারও শত কোটি টাকার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জেলে পল্লীর জেলেরা সমুদ্রে যাচ্ছেন। নৌকা ও জাল ভেদে প্রতিজন বহদ্দারের সর্বনিন্ম ১৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা খরচ করে সুন্দরবনে যেতে হচ্ছে। এতে প্রতিজন বহদ্দারের গড়ে ঋণ করতে হয়েছে ১০ লাখ টাকা। কেউ সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। কেউ ব্যাংক থেকে। আর ৯০ ভাগ জেলে ঋণ করেছেন সুদে মহাজনদের কাছ থেকে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করুন বলেন, পেশাদারী সুদে মহাজনরা প্রতিবছর শতকরা চল্লিশ ভাগ বা তারও বেশি সুদে ঋণ দেন। সহজ শর্তে সরকারি ব্যংকগুলো ঋণ প্রদান করলে জেলেরা বেঁচে থাকতে পারতো। তিনি সহজ শর্তে সরকারি ঋণ প্রদানের দাবি করেন।
এ বিষয়ে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, সমুদ্রগামী জেলেরা প্রতিবছর সরকারকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব দিলেও তাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি। এখনও সুদে মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে তাদের সমুদ্রে যেতে হয়। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে তাদের হাতে আর কোন টাকা থাকে না এ কারণে তাদের ভাগ্য বদল হয় না। তিনি সহজ শর্তে সরকারি ঋণ প্রদানের দাবি করেন।