ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব নেই মোংলা বন্দরে

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনিভূত হয়ে আরও শক্তি সঞ্চার করে ঘূর্ণিঝড় মোখায় রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর হুশিয়ারি সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। তবে এতে আতংকের ছিটেফোঁটাও নেই সুন্দরবন উপকূলীয় মোংলার জনপদে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল থেকে এ উপজেলায় প্রচন্ড দাবদাহ চলছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মোখার কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র। এরমধ্যে ছয়টি ইউনিয়নে ৮৪ টি এবং পৌরসভায় ১৯টি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’ মোকাবেলায় তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এখানে সিপিপির ৬৬টি ইউনিটের প্রায় ১ হাজার ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্যে পর্যাপ্ত খাবারও মজুদ করে রাখা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিদের নিয়ে জরুরি সভা করে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তারেক আহমেদ বলেন, সুন্দরবন উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় “মোখা” থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষার্থে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ, সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সাইক্লোন শেল্টারে নেয়ার পাশাপাশি কোস্টগার্ড স্টেশনে আশ্রয় প্রদান করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোস্ট গার্ডের সকল জাহাজ, বোট, স্টেশন, আউটপোস্ট এবং ডিজাস্টার রেসপন্স ও রেসকিউ টিম প্রস্তুত রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, বন্দরে এই মুহূর্তে ৯ টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। এসব জাহাজে পুরোদমে পণ্য খালাস ও বোঝাই চলছে। তবে ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে এসব জাহাজের কাজ বন্ধ করে রাখা হবে।