খুলনায় আড়াই মাস পর কবর থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন

0

খুলনা ব্যুরো ॥ খুলনায় আড়াই মাস পর কবর থেকে মোটর গ্যারেজ মালিক মো. বিপ্লবের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে রোববার দুপুরে নগরীর গোয়ালখালি কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রূপায়ন দেব, সিআইডি, খালিশপুর থানা পুলিশ ও ব্যবসায়ীর স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রূপায়ন দেব বলেন, রোববার দুপুরে নগরীর গোয়ালখালী কবরস্থান থেকে ব্যবসায়ী বিপ্লবের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে মরদেহ ফরেন্সিক তদন্তের জন্য মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ ফরেন্সিক তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট করবে। এরপর মরদেহ পুনরায় যথাযথভাবে দাফন করা হবে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৭ মে রাত দেড়টার দিকে ব্যবসায়ী বিপ্লবের ছেলে মেহেদী হাসান তুহিনকে হঠাৎ মোবাইল ফোনে কল করেন গ্যারেজের এক কর্মচারী। তাকে জানানো হয়, তার বাবা রাতে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। কথা শুনে তিনি পরদিন সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে খুলনায় আসেন। তিনি যখন বাড়িতে আসেন তখন গোয়ালখালী কবরস্থানে মরদেহ দাফনের সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে। তার অনুপস্থিতিতে মৃত পিতার দাফন, জানাজা সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্ত না করার জন্য আবেদনও করা হয়। যিনি ময়নাতদন্ত না করার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি বাদীর পরিবারের কেউ নন। তাছাড়া বাদী লোকমুখে শুনেছেন মারা যাওয়ার পর তার পিতার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল ও জিহ্বা বের হয়ে ছিল। বাদীর পিতা মারা যাওয়ার পর সকালে গ্যারেজ থেকে তার মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল ও গ্যারেজের কাগজপত্রও নিয়ে যান আসামিরা। এসব কারণে বাদীর সন্দেহ হয়েছে তার পিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ব্যবসায়ী বিপ্লবের ছেলে মেহেদী হাসান তুহিন গত ২২ মে পিতা হত্যার অভিযোগে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (নালিশী আমলী) আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২৪ মে শুনানী শেষে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আহমেদ মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন । গত ৩ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ব্যবসায়ী বিপ্লবের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। ১০ জুন খুলনার অতিরিক্ত চিফ মেট্রাপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আহমেদ মরদেহ উত্তোলন করার নির্দেশ দেন।