মণিরামপুরে ব্লাস্ট রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণে শুঁকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের শীষ

0

ওসমান গণি. রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে হঠাৎ করে ব্লাস্ট রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণে শুঁকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের শীষ। এতে করে এ অঞ্চলে বোরো ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ২৯ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই উপজেলার রোহিতা, খেদাপাড়া, হরিহরনগর, ঝাঁপা, মশ্মিমনগর ও চালুয়াহাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেতে এই রোগটি দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত জমি থেকে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে আশপাশের জমিতেও ছড়িয়ে পড়ছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, এ সব ইউনিয়নের চাষিরা চলতি বোরো মৌসুমে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ করেছেন। তার মধ্যে ৮১, ২৮, ৬৩, ৫৮, ৮৯, জিরা মিনিকেট, জিরা শাইল, রড মিনিকেট, ন্যাড়া মিনিকেট ও বাংলামতি উল্লেখযোগ্য। তবে ২৮, ৮১ ও রড মিনিকেট ধানে ব্লাস্ট রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ বেশি দেখা
দিয়েছে।
জানা যায়, ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের ব্লক মালিক সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল চন্টার দেড় বিঘা, রুহুল কুদ্দুসের এক বিঘা, মালেক আলীর ১৫ বিঘা, ইয়াসিন আলীর ২বিঘা, গফফার হোসেনের ২বিঘা, আবু বক্কারের দেড় বিঘা, হযরত আলীর ৫বিঘা বোরো ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ ও মাজড়া পোকা আক্রমণ করেছে। অনেক ওষুধ ছিটিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন। এতে করে চলতি বোরো মৌসুমে ভয়াবহ ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে মনে করেন এ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত শ শ কৃষক।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্বে থাকা উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও রোগ বালাইসহ পোঁকা মাকড় দমন প্রতিরোধ কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, হঠাৎ করেই আবহাওয়া পরির্বতনের কারণে কিছু এলাকায় বোরো ধানের ব্লাস্ট রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
তবে কৃষকদের ছত্রাকনাশক ওষুধ ও মাজরা পোকার জন্য ক্ষেতে শক্তিশালী কীটনাশক ছিটালে এ রোগ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।